বাড়ি ভাড়া আইন ১৯৯১ -এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয়

follow-upnews
0 0
বাড়িভাড়া সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে বাড়িওয়ালার সাথে বনিবনা না হলে বা বাড়িওয়ালার অথবা ভাড়াটিয়ার জবরদস্তিমূলক কোনো আচরণে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে বাড়িভাড়া আইন-১৯৯১ এর আলোকে বাড়িভাড়া আইন নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ করা যায়।
দরখাস্তের চূড়ান্ত শুনানী

৪৷ (১) এই আইনের অধীন নিয়ন্ত্রকের নিকট পেশকৃত প্রত্যেকটি দরখাস্তের শুনানী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২১(২) এর অধীন অনুমতি লাভের জন্য পেশকৃত দরখাস্তের শুনানী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷

(৩) যদি কোন বিশেষ কারণে উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোন দরখাস্তের শুনানী সম্পন্ন করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে নিয়ন্ত্রক উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সময়ের পর যতশীঘ্র সম্ভব দরখাস্তের শুনানী সম্পন্ন করিবেন৷

(৪) প্রত্যেক দরখাস্তের শুনানী আরম্ভ হইলে উহা ক্রমাগতভাবে চালাইয়া যাইতে হইবে, তবে কোন বিশেষ কারণে উহা সম্ভব না হইলে, উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া নিয়ন্ত্রক শুনানী মূলতবী করিতে পারিবেন৷

(৫) নিয়ন্ত্রক তাহার নিষ্পন্নাধীন প্রত্যেক মামলায় কোন পক্ষের অনুকূলে বা প্রতিকূলে যুক্তিসংগত খরচ প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবেন এবং উহা সরকারী পাওনা (public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷

বাড়ী-মালিক ও ভাড়াটিয়ার প্রতি নোটিশ

৫৷ (১) এই আইন দ্বারা অর্পিত কোন ক্ষমতা প্রয়োগের পূর্বে নিয়ন্ত্রক উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া বাড়ী-মালিক ও ভাড়াটিয়া, যদি থাকে, এর নিকট রেজিিষ্ট্রকৃত ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি তাহার অফিসের কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিবেন৷

(২) নোটিশে উল্লেখিত বাড়ীতে স্বার্থ আছে এই রকম কোন ব্যক্তির নিকট হইতে নোটিশে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ সম্পর্কে কোন দরখাস্ত পাওয়া গেলে নিয়ন্ত্রক উহা যথাযথভাবে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন৷

বাড়ীতে প্রবেশ ও পরিদর্শনের ক্ষমতা

৬৷ (১) এই আইনের অধীন কোন তদন্তের উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রক-

(ক) সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্তের মধ্যে যে কোন সময় কোন বাড়ীতে প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন;

(খ) তাহার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে উক্ত সময়ের মধ্যে কোন বাড়ীতে প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে ক্ষমতা দিতে পারিবেন;

(গ) লিখিত আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তিকে উক্ত তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন খরচের হিসাব, খাজনার দাখিলা বই বা অন্য কোন দলিল আদেশে উল্লিখিত সময় ও স্থানে তাহার পরিদর্শনের জন্য পেশ করার নির্দেশ দিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে কোন বাড়ীতে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ না করিয়া কোন ব্যক্তি উক্ত বাড়ীর দখলদারের বিনা অনুমতিতে উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবেন না৷

(২) সমন করিতে, সাক্ষীর উপস্থিতি বাধ্য করিতে বা কোন দলিল পেশ করিতে বাধ্য করিতে Code of Civil Procedure, 1908 (V of 1908) এর অধীন আদালতের যে ক্ষমতা রহিয়াছে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এবং বিধি সাপেক্ষে নিয়ন্ত্রক সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

ভাড়া বৃদ্ধির উপর বাধানিষেধ
৭৷ এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কোন বাড়ীর ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার অধিক বৃদ্ধি করা হইলে উক্ত অধিক ভাড়া, কোন চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও, আদায়যোগ্য হইবে না৷
প্রিমিয়াম ইত্যাদির দাবী নিষিদ্ধ

১০৷ ভাড়া দেওয়া বা ভাড়া নবায়ন করা বা ভাড়ার মেয়াদ বৃদ্ধি করার কারণে কোন ব্যক্তি-

(ক) ভাড়ার অতিরিক্ত কোন প্রিমিয়াম, সালামী, জামানত বা অনুরূপ কোন অর্থ দাবী বা গ্রহণ করিতে বা প্রদানের জন্য বলিতে পারিবেন না, অথবা

(খ) নিয়ন্ত্রকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, অগ্রীম ভাড়া হিসাবে এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা দাবী বা গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷

ভাড়া আদায়ের রশিদ প্রদান

১৩৷ (১) ভাড়াটিয়া কর্তৃক ভাড়া পরিশোধ করা হইলে বাড়ী-মালিক তত্ক্ষণাত্ ভাড়া প্রাপ্তির একটি রশিদ বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করিয়া ভাড়াটিয়াকে প্রদান করিবেন৷

(২) বাড়ী-মালিক ভাড়ার রশিদের একটি চেকমুড়ি সংরক্ষণ করিবেন৷

মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দণ্ড

২৩৷ যদি কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে-

(ক) ধারা ৮ বা ধারা ৯ এ বিবৃত কারণ ব্যতিরেকে অন্য কোন কারণে মানসম্মত ভাড়া অপেক্ষা অধিক ভাড়া প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করেন; বা

(খ) ধারা ১১ এ বিবৃত কারণ ব্যতিরেকে অন্য কোন কারণে মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত হিসাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রিমিয়াম, সালামী, জামানত বা অনুরূপ কোন টাকা গ্রহণ করেন বা দাবী করেন বা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেন; বা

(গ) নিয়ন্ত্রকের লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে অগ্রিম ভাড়া বাবদ এক মাসের ভাড়ার অধিক ভাড়া গ্রহণ করেন;তাহা হইলে তিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে-

(অ) দফা (ক) এ উল্লেখিতক্ষেত্রে, প্রথমবারের অপরাধের জন্য মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকার দ্বিগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং পরবর্তী প্রত্যেকবারের অপরাধের জন্য উক্ত অতিরিক্ত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন;

(আ) দফা (খ) এ উল্লেখিতক্ষেত্রে, প্রথমবারের অপরাধের জন্য দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং পরবর্তী প্রত্যেক বারের অপরাধের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত্ম অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে;

(ই) দফা (গ) এ উল্লেখিতক্ষেত্রে, প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত যে টাকা আদায় করা হইয়াছে উহার দ্বিগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং পরবর্তী প্রত্যেক বারের অপরাধের জন্য এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত যে টাকা আদায় করা হইয়াছে উহার তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

অভিযোগ দায়ের ইত্যাদি

২৮৷ (১) ধারা ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ এর অধীন প্রত্যেক অভিযোগ নিয়ন্ত্রকের নিকট লিখিতভাবে দায়ের করিতে হইবে৷

(২) নিয়ন্ত্রক উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার নিকট দায়েরকৃত প্রত্যেক অভিযোগ তদন্ত করিয়া উক্ত ধারাগুলিতে উল্লেখিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন৷

(৩) উক্ত ধারাগুলির অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দণ্ডাদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে আদায় করিবেন এবং তিনি যদি উক্ত সময়ের মধ্যে উহা আদায়ে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Bengal Act III of 1913) এর অধীন সরকারী দাবী হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, নিয়ন্ত্রক বিশেষ কারণে, যাহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, উক্ত আদায়ের সময় বর্দ্ধিত করিতে পারিবেন৷

 

 

 

 

Next Post

“১০০ টাকার বাতিতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি“ ৩০০ টাকার বাতিতে ক্ষতি নেই?

প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট নিয়ে সরব একটি আলোচনা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ফেসবুকে। তারা রিপোর্ট করেছে, “১০০ টাকার বাতিতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি”। জনগণ প্রশ্ন তুলেছে, “ঠিক কী কারনে ৩০০ টাকার বাতিতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না, কিন্তু ১০০ টাকার বাতিতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়?” প্রথম আলো রিপোর্টে অবশ্য বৈজ্ঞানিকভাবে সে ব্যাখ্যা নেই, আছে শুধু […]