তাহলে প্রতি কেজি মাংসের দাম হয় ১২০০ টাকা। এটি সামর্থ্য জানান দেয়ার প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
কোরবানিকে সামনে রেখে গরুর দাম এ পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা উঠেছে! কোরবানির ফজিলত ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছি না। বলতে চাচ্ছি, একটি গরুর দাম যখন ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠে তখন তা যে সকল ফজিলত ছাড়িয়ে আর্থিক সামর্থ্য প্রদর্শনের ফজিলত স্পষ্ট করে তোলে তা বলাই বাহুল্য।
১২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতিটি ৫০,০০০ টাকা করে ২৪ টি গরু কেনা যায়। যার প্রতিটিতে ৩ মণ করে মাংস হলে ৭২ মণ মাংস হয়। কিন্তু ১২ লাখ টাকায় ক্রয়কৃত গরুতে যদি সর্বোচ্চ ২৫ মণ মাংসও হয় তাহলে প্রতি মণ মাংস কেনা হয় আটচল্লিশ হাজার টাকায়!
তাহলে প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়ে ১২০০ টাকা। এটি সামর্থ্য জানান দেয়ার প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কি হতে পারে?
অপচয় কিংবা ধর্মীয় দিক থেকে এ মানসিকতা কতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ তা বুঝতে কোন ধর্ম বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।
আজকাল এলাকায় একটা আলোচনা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। সেটা হলো, সবচেয়ে বড় গরুটি কে কিনেছে? যাদের টাকা পয়সা আছে কিন্তু এ বছর একটু আর্থিক মন্দায় খাসি বা ছাগল কোরবানি দিচ্ছে তাদের বাচ্চারা এ আলোচনায় লজ্জা পায়, মুখ অন্ধকার করে বসে থাকে।
এটা যে মানস্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা তারা জেনে গেছে। ছোটরাতো বাস্তবতা বোঝে না, বোঝে সমাজের রীতিনীতি, প্রচলন।
যে প্রচলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে একদিন হয়ত আইনেরও দরকার হতে পারে।
২০/০৯/২০১৫, রিপোস্ট: ৮/৯/২০১৬
লেখক: আল-আমীন রহমান
ফেসবুক: Al-Amin Rehman