কানাডার প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই শুধু দুইবার ভাষণ দেবেন। কানাডা মিডিয়ায় দেখা যায়, শেখ হাসিনা যেনো সম্মেলনের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন!
মন্ট্রিলে দু’দিনব্যাপী গ্লোবাল ফান্ড কনফারেন্সের জাঁকজমক পূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। আগামী কাল সমাপনী অনুষ্ঠানেও শেখ হাসিনা বক্তব্য দিবেন। কানাডার প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই শুধু দুইবার ভাষণ দেবেন। কানাডা মিডিয়ায় দেখা যায়, শেখ হাসিনা যেনো সম্মেলনের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন!
আজ এক পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাবা পিয়ারে ট্রুডোর মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদক তুলে দেয়া হয় পুত্র জাস্টিন ট্রুডোর হাতে। এই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীর ফেরত বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
জানা গেছে, মন্ট্রিয়লে সরকারি সফরের কর্মসূচির বাইরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনির্ধারিত ক’টি অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। আজ শনিবার তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে “নাগরিক গণ সংবর্ধনা’য় যোগ দিবেন এবং রাতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।IMG0
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে এক নজরে দেখার জন্য সারাদিন ডাউনটাউনের অমনি হোটেলের সামনে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ভিড় সামলাতে নিরাপত্তাকর্মীরা হিমশিম খায়। তবে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতা ছাড়া কারো সাথে দেখা করেননি।
এদিকে কানাডা বিএনপি, বাংলাদেশ ওয়াচ কানাডাসহ সমমনা কয়েকটি সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানাডা সফরের বিরোধিতায় প্রথমে বিমানবন্দরের বাইরে এবং পরে হোটেলের আসার পথেও পুলিশের নিশ্ছিদ্র প্রহরায় বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন ও কালো পতাকা প্রদর্শন করে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই পুলিশ প্রহরায় সমাবেশ শেষ করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আর সি এম পি, মন্ট্রিয়ল পুলিশ এবং বাংলাদেশ থেকে আসা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এস এস এফ এর ব্যবস্থা।
#এই নিউজটি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে। ইত্তেফাকের নিউজ লিংক