স্বর্ণ → অর্থ → অস্ত্র → যুদ্ধ — এই চেইনটি যেভাবে কাজ করে।
নিউজটি এআই দিয়ে নির্মিত।
সুদানের গৃহযুদ্ধের পেছনে সোনা একটি প্রধান কারণ। বর্তমানে যেমন স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ ঘিরে দুই জেনারেলের দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খনিগুলোর দখল নিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন এবং গণহত্যা চাপিয়ে দেওয়া হয়। একইসাথে স্বর্ণ থেকে প্রাপ্ত অর্থ নন-আরব সুদানিদের হত্যায় এবং বিতাড়নে ব্যবহার করা হয়। চোরাচালানের বেশিরভাগ সোনা কিনে নেয় আরব আমিরাত। আরব আমিরাত মূলত আরব নৃতত্ত্বের দাবিদার গণহত্যা পরিচালনাকারী আরএসএফ-এর কাছ থেকে সোনা কেনে। আরএসএফ-এর কাছে অস্ত্রের যোগানও আসে আরব আমিরাত থেকে।
রাষ্ট্রীয় এবং বিদ্রোহী উভয় গোষ্ঠীর কাছেই অর্থের যোগান আসে স্বর্ণের মাধ্যমে। সোজা কথায় সুদানী সশস্ত্র বাহিনী (SAF) এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর জন্য শক্তি এবং অর্থায়নের মূল উৎস হয়ে উঠেছে স্বর্ণ। ফলে স্বর্ণের ব্যবসা রূপ নেয় সংঘাতে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই সংঘাত থেকে দূরে থাকলেও তাদের দায় কৌশলগত। এটি একটি জটিল সংঘাতময় অর্থনীতি তৈরি করেছে, যেখানে সোনার বাণিজ্য সহিংসতা, ক্ষমতার লড়াই এবং বহিরাগত স্বার্থের সাথে দৃঢ়ভাবে জড়িত।
সুদানের স্বর্ণখনি কাদের নিয়ন্ত্রণে?



Sudan-এর স্বর্ণখনি নিয়ন্ত্রণ ও কার্যপ্রণালী বেশ জটিল ও বিরোধপূর্ণ। মূল ফ্যাক্টরগুলোঃ
❖ কারা নিয়ন্ত্রণ করছে?
-
স্বর্ণখনি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রধান দুই পক্ষ হলঃ
-
Sudanese Armed Forces (SAF) — দেশটির মূল সেনাবাহিনী।
-
Rapid Support Forces (RSF) — প্যারামিলিটারি বাহিনী, যার সঙ্গে রয়েছে Mohamed Hamdan Dagalo (বেশ পরিচিত “হেমেতি” নামেও) ও তার পরিবারের কোম্পানিগুলি।
-
-
সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে Sudanese Mineral Resources Company, যা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে স্বর্ণ রপ্তানির তথ্য দিয়েছে।
-
আইনগতভাবে, দেশটির সরকারি নীতি অনুযায়ী “মিনারেল রিসোর্সেস” সরকারের অধীনে রয়েছে।
❖ কার্যপ্রণালী ও শক্তি বণ্টন
-
সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে, স্বর্ণখনি হয়ে উঠেছে একটি অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক উৎস। উভয় পক্ষই নিজেদের যুদ্ধযজ্ঞ ও রাজনৈতিক শক্তি বজায় রাখতে স্বর্ণ থেকে আয় করছে।
-
RSF বিশেষ করে Al Junaid Multi Activities Co. Ltd. নামক সংস্থার মাধ্যমে স্বর্ণ খনন ও রপ্তানিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এই কোম্পানিতে হেমেতির পরিবারের অংশ রয়েছে।
-
সেনাবাহীন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেও স্বর্ণখনি ও প্রক্রিয়াকরণ চলছে।
-
অনেক খনন কাজ “অফিশিয়াল” নয় — অনেক স্বর্ণ নিয়মিত রপ্তানি হয় সরকারি ব্যবস্থার বাইরেও, এবং রয়েছন সঙ্গী হিসেবে বহির্বিশ্বীয় চেইন ও কনভেয়ার।
❖ সংক্ষেপে বললে
-
সরকার বলছে, মাইনিং ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। তবে বাস্তবে অনেক খনন ও রপ্তানিতে রয়েছে সেনা-মিলিশিয়ার শক্তিও।
-
RSF এক উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়— খনন, প্রক্রিয়াকরণ, রপ্তানিতে তাদের হস্তক্ষেপ রয়েছে।
-
সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে নিয়ন্ত্রণ নির্ধারণ করা কঠিন— অঞ্চলভিত্তিক পরিবর্তনশীল।
-
এই খনন ও রপ্তানির অর্থ এখন শুধু খনি নয়, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির উৎস হিসাবেও বিবেচিত।

সুদানের স্বর্ণখনিতে বিদেশি কোম্পানির ভূমিকা
১. রাশিয়ান কোম্পানি (বিশেষ করে “Wagner Group” ও সহযোগীরা)
-
রাশিয়ার Wagner Group (বর্তমানে “Africa Corps” নামে পুনর্গঠিত) দীর্ঘদিন ধরে RSF ও হেমেতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
-
Wagner-এর সংযুক্ত কোম্পানি Meroe Gold সুদানের দারফুর ও অন্যান্য অঞ্চলে স্বর্ণখনি পরিচালনা করত।
-
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই খনিগুলো থেকে সংগৃহীত স্বর্ণের একটি বড় অংশ রাশিয়ায় পাঠানো হয়, যা মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়ক হয়।
-
সূত্র: CNN, Reuters, Chatham House, Africa Confidential
২. চীনা কোম্পানিগুলো
-
চীনের কয়েকটি মাইনিং কোম্পানি সরকারি অনুমোদন নিয়ে কাজ করছে, বিশেষত River Nile State, Red Sea State, এবং South Kordofan অঞ্চলে।
-
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
-
Wanbao Mining Co. (subsidiary of NORINCO Group)
-
China National Geological & Mining Corporation (CGM)
-
-
চীনা বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সরকারি পক্ষ (SAF)-এর সঙ্গে কাজ করে, কারণ, তাদের প্রকল্পগুলো মূলত বৈধ ও নিবন্ধিত খনি।
-
অনেক সময় তারা স্থানীয় সামরিক প্রশাসনের “রক্ষাব্যবস্থা”র ওপর নির্ভর করে।
৩. সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)
-
UAE হলো সুদানের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ।
-
আমিরাতভিত্তিক Kaloti Group, Al Fajr, ও অন্যান্য “gold trading firms” RSF-এর মাধ্যমে সংগৃহীত স্বর্ণ কিনে দুবাইয়ে প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানি করে।
-
Bloomberg ও Global Witness রিপোর্ট অনুযায়ী, দুবাইয়ের স্বর্ণবাজারে অনেক RSF-সম্পৃক্ত স্বর্ণ “অফিশিয়াল” হিসেবে প্রবেশ করে।
-
এই কারণে সুদানের যুদ্ধ অর্থনীতিতে দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব।
৪. তুরস্ক
-
তুরস্কও কিছু খনির যৌথ উদ্যোগে অংশ নিয়েছে, বিশেষ করে Sudanese-Turkish Mining Co. Ltd.
-
২০১৭ সালের পরে এরদোয়ান সরকারের সময় তুরস্ক সুদানের খনিতে বিনিয়োগ বাড়ায়, তবে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে তাদের কার্যক্রম কমেছে।
৫. মিশর ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীরা
-
মিশরের কিছু কোম্পানি এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীরা উত্তর সুদানের River Nile State-এ স্বর্ণ প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
-
এগুলো মূলত সেনাবাহিনী-সমর্থিত অঞ্চলগুলোতে।
সংক্ষেপেঃ
| দেশ | জড়িত কোম্পানি/গ্রুপ | কাদের সঙ্গে যুক্ত | মূল কাজ |
|---|---|---|---|
| রাশিয়া | Wagner / Meroe Gold | RSF (হেমেতি) | খনন ও রপ্তানি |
| চীন | CGM, Wanbao Mining | SAF (সরকারি বাহিনী) | খনন ও বৈধ রপ্তানি |
| আমিরাত | Kaloti, Al Fajr | RSF ও মধ্যস্বত্বভোগী | ক্রয় ও প্রক্রিয়াকরণ |
| তুরস্ক | Sudan-Turkish Mining Co. | SAF | যৌথ উদ্যোগ |
| মিশর | বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম | SAF | রিফাইনিং প্ল্যান্ট |

সুদানের গৃহযুদ্ধ কি স্বর্ণ খনির ফলে হয়?
স্বর্ণই সুদানের গৃহযুদ্ধের “জ্বালানি” বা মূল আর্থিক প্রেরণা।
তবে এটি সরাসরি একক কারণ নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতা, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, এবং অর্থনৈতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ— এই তিনটি কারণ একত্র হয়ে যুদ্ধটিকে দীর্ঘায়িত করছে।
⚔️ সুদানের গৃহযুদ্ধ ও স্বর্ণের সম্পর্ক
১. স্বর্ণ হলো অর্থনৈতিক শক্তির উৎস
-
খসুদান আফ্রিকার অন্যতম সবচেয়ে বড় স্বর্ণ উৎপাদক দেশ। প্রতি বছর ৯০–১০০ টন পর্যন্ত স্বর্ণ উত্তোলিত হয়।
-
এই স্বর্ণের অধিকাংশই অফিশিয়াল নয়, অর্থাৎ সরকারিভাবে রপ্তানি বা ট্যাক্স রেকর্ডে থাকে না।
-
ফলে যেই বাহিনী বা গোষ্ঠী স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার হাতে চলে আসে বিপুল নগদ অর্থ ও অস্ত্র কেনার ক্ষমতা।
-
RSF (Rapid Support Forces) এই অর্থ দিয়েই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে।
২. যুদ্ধের অর্থায়ন হয় স্বর্ণ থেকে
-
RSF নেতা হেমেতি (Mohamed Hamdan Dagalo)-র পরিবার নিয়ন্ত্রিত Al Junaid Company খনন, বিক্রি ও রপ্তানি করে কোটি কোটি ডলার আয় করে।
-
এই অর্থ RSF-এর সৈন্যদের বেতন, অস্ত্র ক্রয়, ও মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ব্যবহৃত হয়।
-
অপরদিকে, সরকারি সেনাবাহিনী (SAF)-ও স্বর্ণ থেকে রাজস্ব পায়, তবে RSF-এর মতো সরাসরি নয়।
-
অর্থাৎ, দুই পক্ষই স্বর্ণ থেকে অর্থ পায়, যা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে “জ্বালানি” সরবরাহ করে।
৩. আন্তর্জাতিক স্বার্থের জাল
-
বিদেশি দেশগুলো (বিশেষত রাশিয়া, UAE, চীন) স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে উভয় পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্য করে যাচ্ছে।
-
রাশিয়ার Wagner Group RSF-এর সহযোগী, তাদের মাধ্যমে রাশিয়া আফ্রিকায় প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং নিষেধাজ্ঞা এড়াচ্ছে।
-
UAE RSF-এর স্বর্ণ কিনে দুবাইয়ে নেয়, ফলে পরোক্ষভাবে RSF অর্থ পায়।
-
এই বিদেশি অর্থপ্রবাহ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করে তুলেছে।
⚒️ ৪. খনি অঞ্চলগুলোই যুদ্ধক্ষেত্র
-
দারফুর, নর্থ কর্ডোফান, ব্লু নাইল ও রিভার নাইল স্টেটের বেশিরভাগ খনি এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
-
যেই পক্ষ নতুন কোনো স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ নেয়, সেখানেই অন্য পক্ষ পাল্টা হামলা চালায়।
-
এটি একধরনের “resource war”, সম্পদ দখল মানে রাজনৈতিক ক্ষমতা।
৫. স্বর্ণ শুধু অর্থ নয়, ক্ষমতার প্রতীকও
-
স্বর্ণ থেকে পাওয়া অর্থ RSF-কে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে স্বাধীন করে তুলেছে। এজন্য তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কথা শোনে না।
-
SAF চায় স্বর্ণ রপ্তানির নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রীয় হাতে রাখতে, যাতে RSF দুর্বল হয়।
-
এই বিরোধটাই এখনকার যুদ্ধের মূল অক্ষ হয়ে উঠেছে।
সুদানে RSF স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ পেলে আরব আমিরাতের কী লাভ?
সুদানের RSF (Rapid Support Forces), সোনার রপ্তানি নেটওয়ার্ক, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) মধ্যে কীভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
নিচে বিশ্লেষণ করে বলছি —
১. RSF ও স্বর্ণখনির নিয়ন্ত্রণ
RSF, যা মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেতি) পরিচালনা করে, দারফুর এবং উত্তর সুদানের বহু স্বর্ণখনি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এখন এই স্বর্ণের একটি বড় অংশ অবৈধ বা অনানুষ্ঠানিক পথে রপ্তানি হয়,
এবং প্রধান গন্তব্য হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষত দুবাই)।
২. আমিরাতের অর্থনৈতিক লাভ
সস্তা ও অননুমোদিত স্বর্ণ পায়:
১. RSF-এর খনি থেকে আসা সোনা প্রায়শই সরকারি কর বা রপ্তানি শুল্ক ছাড়াই আসে।
২. এর ফলে আমিরাতের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কম দামে বিশাল পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করতে পারে।
৩. দুবাইয়ের গোল্ড মার্কেটের শক্তি বৃদ্ধি: দুবাই বিশ্বের অন্যতম স্বর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
৪. সুদানের মতো দেশ থেকে “গোপন” বা “অননুমোদিত” স্বর্ণ আসায় দুবাইয়ের রিফাইনারি ও ট্রেডাররা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব বাড়াতে পারে।
৫. স্বর্ণ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা ও রপ্তানি আয় বাড়ানো:
এই সোনা পরে বৈধভাবে পুনঃরপ্তানি করা হয় (রিফাইন করে), ফলে আমিরাত বৈধ রপ্তানির আড়ালে অবৈধ সোনা বিক্রি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
৩. রাজনৈতিক ও কৌশলগত লাভ
RSF-এর ওপর প্রভাব বৃদ্ধি:
১. RSF-কে অর্থ, অস্ত্র বা কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আমিরাত সুদানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব রাখে।
২৷ এটি তাদের আফ্রিকা অঞ্চলে কৌশলগত উপস্থিতি জোরদার করে।
৩. আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরি:
আমিরাত ও সৌদি আরব আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূলে অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বাড়াতে চায়।
সুদানে RSF-কে সমর্থন দিয়ে আমিরাত তুরস্ক, কাতার বা ইরানের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারে।
৪. মোদ্দাকথা
RSF-এর স্বর্ণখনি নিয়ন্ত্রণ =
➡ আমিরাতের জন্য সস্তা ও বিশাল পরিমাণ স্বর্ণ সরবরাহ
➡ দুবাইয়ের বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে লাভ
➡ আফ্রিকা ও লোহিত সাগর অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রভাব
➡ আন্তর্জাতিকভাবে “সোনার ব্যাংক” ইমেজ শক্তিশালী করা
