মালবিকা স্কুলে গিয়ে ‘মেধা নষ্ট’ করেনি বলে

কোনো বাধ্যবাধকতায় নয়, দারিদ্র্যের কষাঘাত বা কোনো মান অভিমান নয়। স্কুল ছেড়েছিল সে স্বেচ্ছায়, মায়ের পরামর্শে। চেনা ছকে বাধা পড়ে ‘মেধা নষ্ট’ হচ্ছিল বলে। মা স্কুল থেকে নাম কাটিয়ে দেন ১২ বছর বয়সী মেয়ের। ফলে মালবিকা যোশির আর ক্লাস টেন বা টুয়েলভ পাশ করা হয়নি । স্কুলের গন্ডি পার হতে না পারলেও (না চাইলেও) এই সপ্তদশীর হাতে রয়েছে এখন আমেরিকার অন্যতম কুলীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা MIT-তে স্কলারশিপ-সহ পড়ার চাবি।

মুম্বইয়ের ১৭ বছরের মালবিকা যোশি এখন ভারতের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার খবরের শিরোনামে । ছোট থেকেই সে অত্যন্ত মেধাবী । স্কুলের ফলাফলও উজ্জ্বল থাকত সবসময়। কিন্তু ক্লাস সেভেন অবধি পড়ার পরে তার মা সুপ্রিয়া ঠিক করেন এবার  থেকে মেয়ে আর স্কুলে যাবে না, পরিবর্তে বাড়িতেই শুরু হয় পড়াশোনা । কারণ সুপ্রিয়ার মনে হয়েছিল স্কুলে তাঁর মেয়ের সর্বাঙ্গীন বিকাশ হচ্ছে না।

মালবিকার সবথেকে আগ্রহ কম্পিউটার প্রোগ্র্যামিং-এ। সেটা নিয়েই ভবিষ্যতে এগোতে চায় সে । ইতিমধ্যে International Olympiad of Informatics-এ তিন তিনবার মেডেল পেয়েছে সে। সেই সুবাদে MIT-তে বিএসসি করার সুযোগ পেয়েছে । কারণ MIT-র নিয়ম অনুযায়ী প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও অঙ্ক‚ পদার্থবিজ্ঞান এবং কম্পিউটার বিষয়ের অলিম্পিয়াডের পদকজয়ীদের এখানে পড়ার বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়।

ফলে ভারতীয় উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে মালবিকা সুযোগ না পেলেও ( টুয়েলভ উত্তীর্ণ না হওয়ার কারণে ) তাকে ডেকে নিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান । জীবনে বরাবর নম্বর এবং ডিগ্রির থেকে সর্বাঙ্গীন শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মালবিকার মা | তিনি চান‚ আগামী দিনেও সেটাই মূলমন্ত্র থাকুক মেয়ের কাছে ।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া