Headlines

শহীদ জামিল আকতার রতনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্বৈরাচার এরশাদের প্রণীত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিলের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা, জামাত-শিবিরের খুনীদের হাতে নিহত বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি শহীদ ডা. জামিল আকতার রতন এর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ৩১ মে। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ৩০ মে বিকাল ৩.৩০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে (লেকচার থিয়েটার, কলাভবনের পিছনে) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, ছাত্র মৈত্রীর প্রাক্তন সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু।
এছাড়া ৩১ মে শহীদের মৃত্যুবার্ষিকীতে সকাল ৭টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও সারাদেশের সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। এদিন সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ছাত্র মৈত্রী সহ অন্যান্য অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩১ মে সকালে রাজশাহীতে সংগঠনের মহানগর কার্যালয় থেকে শোকর‌্যালি সহকারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বক্তব্য রাখবেন ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এবং ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে ছাত্র সমাবেশ, মিছিল, আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
উল্লেখ্য, শহীদ ডা. জামিল আকতার রতন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। জামাত-শিবির সহ সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি রাজশাহীতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। স্বৈরাচার এরশাদ শাহী সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তনের চেষ্টাকালে তার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে তিনি দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর রক্তের উপর দাঁড়িয়েই এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তন করে। ১৯৮৮ সালের ৩১ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে একাডেমিক কাউন্সিলের ৩৪ জন শিক্ষকের সামনেই ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই থেকে এ দিনটিকে ছাত্র মৈত্রী সহ অপরাপর অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলো ‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

সূত্র : সংগৃহীত