গাজীপুরে একটা পিকনিকে গিয়েছিলাম আজকে। নিজ উপজেলা কচুয়া ফাউন্ডেশনের পিকনিক। (জানি না ফাউন্ডেশন শব্দ দ্বারা এক্ষেত্রে কী বুঝানো হয়েছে।)
দারা পুত্র পরিবার সহ গিয়েছিলাম। প্রচুর ছবি তুলেছি, যেমন আমি তুলি। কিন্তু নিচের এই ছবিটি আমার প্রাণ ছুঁয়ে গিয়েছে।
ওদের সাথে তেমন কোনো কথা বলতে পারিনি। লজ্জায় আমার মাথা নুইয়ে আসে এ ধরনের মানুষের সাথে কথা বলার সময়।
পিকনিকে আগত লোকেদের জন্য জনৈক স্থানীয় বৃদ্ধাকে পিঠা বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশে তাকে সাহায্য করছে তার নাতি মাহফুজ।
মাহফুজ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, তবে অর্থের অভাবে পড়াশুনা তেমন করা হয় না বুঝলাম। ওদের দেখে এটাও বুঝলাম যে ওরা ঢাকা শহরের পথে থাকা দরিদ্রদের চেয়েও দরিদ্র।
পাঁচশো লোকের পিকনিক হয়েছে। খেয়েছে তো যে যা পারে, খাবার নষ্ট হয়েছেও প্রচুর, অব্যবস্থাপনা ছিল প্রচুরতর। মারামারিও করেছে একদলে।
তখন বেলা গড়িয়ে বিকেল, ৪টা বাজে প্রায়। মাহফুজ কে জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের কি খাবার দিয়েছে? ওর নানি অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। সে দৃষ্টিতে বিস্ময়, ভয়, ঘৃণা সবই যেন একাকার।
যা বোঝার আমি বুঝে গেলাম। নিজেকে ধিক্কার দিয়ে ঈশপকে কোলে নিয়ে ভালবাসা বৃত্তবন্দী করে রাখলাম মুহূর্তে। আসলে ঈশপ হয়েছে আজকাল আমার ভুলে থাকার এক মোক্ষম “যন্ত্র”।