প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় গণকে বিবাদী করে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে ১২ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং মানি ৭৮/২০১৬। যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শাহদাৎ হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিবাদীদেরকে জবাব দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য গত ২০ জুন দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় “সংখ্যালঘুদের উদ্বেগ ও একরৈখিক চিন্তাভাবনা” শীর্ষক কলামে “এই গোবিন্দ প্রামাণিক কে? তিনি ছিলেন জামায়াতে ইসলামের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক” মর্মে মিথ্যা বানোয়াট এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে হিন্দু সমাজকে বিচ্ছিন্ন ও অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিককে সামাজিক, মানসিক, ধর্মীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কু-মানসে প্রতিবেদন তৈরী করে দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশ করেছেন। বাদী তার আরজীতে দাবী করেছেন তিনি বাংলাদেশে সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে ব্যপক অবদান রাখায় ২০০৫ সালে গুজরাটে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সংঘ শিবির, ২০০৭ সালে এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন, ২০১০ সালে পুনেতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সংঘ শিবির, ২০১৪ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস এবং ২০১৫ সালে জব্বলপুর এ অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গভর্ণিং কাউন্সিল ও ট্রাষ্টি বোর্ডের যৌথ মিটিং এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সংঘ শিবিরে আমন্ত্রিত হন এবং মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী, বিজেপির বর্তমান সভাপতি শ্রী অমিত শাহ, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীমতি সুসমা স্বরাজ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং মত বিনিময় করেছেন। বিশ্ব হিন্দু নেতৃৃবৃন্দের কাছে তিনিই একমাত্র গ্রহণযোগ্য হিন্দু নেতা হিসেবে পরিচিত। সেকারনে ইতোমধ্যে পত্রিকায় উক্ত মিথ্যা বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদন দেশে ও বিদেশে প্রকাশ ও প্রচারের ফলে বাদীর উক্ত পরিমান ক্ষতি হয়েছে মর্মে আরজীতে দাবী করেছেন। বাদী ৩ জন বিবাদীর প্রত্যেককে ৪ কোটি টাকা করে ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপুরন আদায়ের জন্য মামলা দয়ের করেছেন।

বার্তাপ্রেরক-
(গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক)
মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট
যোগাযোগ ০১৯১৪৮৫৮৪৫৮