লাবণ্য হিজরা ধরেছিলেন ওয়াশিকুরের খুনিকে

11057909_10205368736771370_5440046798094002195_n


বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে পুরস্কৃত করতে চেয়েছেন, কিন্তু লাবণ্য কি পেুরস্কারের চেয়েও বেশি কিছু করে ফেলেননি? তিনি কি দেশে যারা মূলধারার মানুষ বলে পরিচিত বলে গর্ব বোধ করে তাদের স্বার্থপরতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেননি। নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদ অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর লাবণ্য হিজরাকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে সম্মত হন। লাবণ্য তার গুরু স্বপ্না হিজরার অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান।
উল্লেখ্য, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে তার লেখালেখির জন্য তিন যুবক তেঁজগাও বেগুন বাড়িতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পাশ দিয়ে যেতে থাকা লাবণ্য হিজরা একজন খুনির টি-শার্ট টেনে ধরে। এ সময় খুনির অন্য একজন সহযোগী চাপাতি বের করে তাকে হুমকি দিয়েও লাবণ্য চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিনিধিকে লাবণ্য বলেছেন, “আমরা চাইনা দেশের কেউ কোথাও খুন হোক, আমরা দেশের সকল মানুষ নির্বঘ্নে চলাচল করতে পারবে।”

ঢাকা ট্রিবিউনের বরাতি দিয়ে নিউইয়ক টাইমস বলেছে, ওয়াশিকর রহমানকে যখন খুন করা হয় তখন পাশে অন্য লোকও ছিল কিন্তু তারা ওয়াশিকুরকে বাঁচাতে বা খুনিদের ধরতে এগিয়ে আসেনি। লাবণ্য এবং তার সহযোগী দুইজনকে ধরে চিৎকার দিলে পুলিশসহ অন্যরা এগিয়ে আসে। পরে লাবণ্যরা চলে যায়।

লাবণ্য এখন ভয় পাচ্ছে যে, তাকে চিনে ফেললে ওরা তাকেও খুন করবে। সে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছে।

তিনি বলেছেন, “তবে সন্ত্রাসীদের ধরার কারণে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি এবং হিজরাদের সম্পর্ক তাদের ধারনাও পরিবর্তন হয়েছে।

সূত্র : দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস্।