সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার ঘরবাড়ি; ফেসবুক আমার বসার ঘর, টুইটার আমার খাওয়ার ঘর, ইনস্টাগ্রাম আমার শোবার ঘর, সেখানে আমার যা খুশি তাই করবো, বলবো। আমার বসার ঘরে একশজন বন্ধু নিয়ে আড্ডা দেবো, যাকে খুশি তাকে নিয়ে কথা বলবো, তাতে কোন দেশের সরকারের কী?
আমেরিকার নাগরিকসহ সারা পৃথিবীর মানুষ সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পকে বলদ ডাকে, নারীবাজ, ধাপ্পাবাজ বলে, বলদ ট্রাম্প প্রতিদিন টুইটারে কতকিছু লিখে যাচ্ছে, তাতে হোয়াইট হাউজের কিছু এসে যাচ্ছে না।
হাতে কানাডার পাসপোর্ট ধরে বলি কানাডার কনফেডারেশন ভুল, আদিবাসীদেরকে ছাড়া কেন হবে? ১লা জুলাইতে আমিই ফেসবুকে লিখেছিলাম। আমি ছাড়াও হাজার হাজার সচেতন কানাডিয়ান নাগরিক লিখেছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ভাষণের সময় আদিবাসীরা ক্রমাগত স্লোগান দিয়েছে, কাউকে কোন ধারায় গ্রেফতার করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায়ও জনগণ বলছে আদিবাসীদের পক্ষে। সেজন্যে এইসব দেশ কোনো ধারা প্রবর্তন করেনি।
যত সমস্যা বাংলাদেশে। আরে বাবা, আমার বসার ঘরে সত্তরজন বান্ধবীদের সাথে চায়ের আড্ডায় বলি হিলারির কানের দুল সুন্দর, হাসিনার লিপিস্টিকের রঙ সুন্দর, ট্রুডো দেখতে সুন্দর, হিলারি মিথ্যা কথা বলে, হাসিনা গালিগালাজ করে, খালেদার ভ্রু চিলে নিয়ে গেছে, ট্রাম্পের চুল নকল। বিগত বছরগুলোতে কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হারপারকে সবাই রোবট ডেকেছে, ওর গলা নেই, ঘাড়ের সাথে গলা লাগানো তাও শুনেছে। ওবামার নতুন স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে এখনো কথা শুনছে, তাতে কার কী এসে যাায়? সেসব ব্যক্তি পর্যায়ে পড়ে, রাষ্ট্রীয় বিষয় না।
পরাবে কেন হাতে কেউ হাতকড়া? আমার ঘরের জানালা দরজা আমার ইচ্ছায় খুলবো, লাগাবো। তাতে কীসের ধারা? ৫৭ ধারা কীসের জন্যে, কাদের জন্যে? আর কোনোদেশে আছে এমন ধারা? আমার বসার ঘরে আমি বলি, লিখি, তাতে কী এসে যায়?
তোমরা যে জনগণের সংসদে বসে কিলাকিলি করছো, তারপরেও তো আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমার ভোটে ভাত খাও আবার আমারই ঘরের ভেতর ঘুঘু চড়াও?