২০০৭ সালে বন্যা আহমেদের একটি বই আমি পড়েছিলাম। ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটিতে উনি খুব সহজ ভাষায় বিবর্তনবাদ ব্যাখ্যা করেছেন। অভিজিৎ রায়কে চিনেছি আরো পরে। ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ বইটি পড়ে। মুক্তমনায় আমার বিচরণ ছিল। মুক্তমনায় কখনো রেফারেন্স ছাড়া কিছু লেখা হত না। আজগুবি কিছু লেখা হত না। অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদ, দুজনই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিজিৎ রায় এরপর ন্যাশনাল ইউনিভিার্সটি অব সিঙ্গাপুর থেকে পিএইচডি করেছেন। অভিজিৎ রায়ের পিতা অজয় রায়ও একজন প্রকৌশলী ছিলেন। আমেরিকার আটলান্টা শহরে বসবাস করতেন। সেখানে থেকে না গিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদও আমেরিকায় থাকতেন। তবে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে লেখালেখি করেছেন, কাজ করে গিয়েছেন। আমার ধারণা ওনারা কখনো চিন্তাই করতে পারেননি যে, তাদের খুন করা হতে পারে। তাহলে নিশ্চয়ই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে এভাবে বই মেলায় যেতেন না। অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদ রেফারেন্স ছাড়া লিখেছেন এমন একটি লাইনও কেউ দেখাতে পারবে না। কষ্টা হচ্ছে, যে জনগণের জন্য অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদ রা কাজ করেন, সেই জনতার কাছ থেকে ধর্মর দোহাই দিয়ে সমর্থন আদায় করে নেয় হায়েনারা, ওরাই আবার জনগণরে শোষণ করে। বালজনতা, তোরা মানুষ চিনলি না। তোরা আবাল বলেই দেশটা এমন।
দিব্যেন্দু দ্বীপ