যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠায় নির্মূল কমিটির আন্দোলন

Ali Akbar Tabi

আলী আকবর টাবী


শহীদজননী জাহানারা ইমামের প্রদর্শিত পথে দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মহাজোট ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করে। রাজাকারের শিরোমনি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচার এবং শাস্তি হয়। নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম ও সাকা চৌধুরীর মতো দাগী আসামীদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে— এখন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আর কোনো প্রয়োজন আছে কি?

শহীদজননী জাহানারা ইমাম ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করার পর ২৬ মার্চ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের জন্য গণআদালত গঠন করে এক অভূতপূর্ব আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল সুদূরপ্রসারী। তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগঠিত করা এবং বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া। সেদিন তিনি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবীও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকজন দাগী যুদ্ধাপরাধীর বিচারকার্য সম্পন্ন হলেও এসব দাবী বাস্তবায়ন এখনও সুদূরপরাহত। এসব দাবী বাস্তবায়িত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের এখনো অনেক পথ পেরোতে হবে।

আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে বিচার করে দণ্ড দিতে সক্ষম হলেও যুদ্ধাপরাধীদের দর্শন মওদূদীবাদ ও ওহাবীবাদকে এখনও সমূলে উৎপাটিত করতে সক্ষম হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসি দেওয়া যত কঠিন, তার চেয়ে আরও কঠিন মৌলবাদী দর্শনকে নির্মূল করা। এরজন্য প্রয়োজন নিরন্তর আদর্শগত ও মনস্তাত্ত্বিক লড়াই পরিচালনা করা। এই লড়াইয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সশস্ত্র করতে হবে, তবে আক্ষরিক অর্থে অস্ত্রে নয়, তাত্ত্বিকভাবে।

হিটলার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ‘এসএস’ বাহিনী গঠন করে ইহুদি, কমিউনিস্ট ও ভিন্নমতালম্বীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, জামায়াত তেমনি ঘাতক ‘আলবদরবাহিনী’ সৃষ্টি করে দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের তালিকা প্রস্তুত করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছিল। হিটলারের পতনের পর মিত্রবাহিনী নুরেমবার্গ ট্রাইবুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি ‘এসএস’ এর বিচার করেছিল কিন্তু আমরা ‘আলবদরের’ মতো ঘাতক বাহিনীকে এখনও বিচারের আওতায় আনতে পারিনি। শুধু তাই নয়, নুরেমবার্গ ট্রাইবুনাল হিটলারের নাৎসী দলকেও বিচার করে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রচ্যের প্রতিক্রিয়াশীল দেশসমূহ, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বিরোধিতা করেছিল তাদের চাপে এখনও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়নি।

’৭২-এর সংবিধান

জাহানারা ইমামের আন্দোলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল— বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলিক অংশটুকু হুবহু পুনঃপ্রবর্তন করা। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধানের ৩টি মৌলিক স্তম্ভ ও কয়েকটি ধারা বাতিল করে দেশকে পাকিস্তানের পঙ্কিল পথে পরিচালিত করেছিলেন। যে মৌলিক স্তম্ভ এবং ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো হলো—

১. জাতীয়তাবাদ: বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে অসম্প্রদায়িকতা। তাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে এদেশের সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের কবর রচনা করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। সেজন্য বাংলাদেশের সংবিধানে চার মূলনীতির অন্যতম ছিল ‘জাতীয়তাবাদ’।
২. ধর্মনিরপেক্ষতা: একাত্তরের রণাঙ্গনে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, পাহাড়ি ও সাঁওতাল সকলের মিলিত রক্ত স্রোতে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তাই বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজিত হয়েছিল। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজনের সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর খসড়া সংবিধানের ওপর জাতীয় সংসদে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন—ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিস্টান, বৌদ্ধ— যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, বাংলার মানুষ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চায় না। রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে, তাহলে বাংলার মানুষ যে তাকে প্রত্যাঘাত করবে, এ আমি বিশ্বাস করি। জনাব স্পিকার সাহেব, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবও না। … ২৫ বৎসর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেইমানি, ধর্মের নামে খুন, ধর্মের নামে ব্যভিচার— এই বাংলাদেশের মাটিতে চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।
৩. সমাজতন্ত্র: আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কৃষক, শ্রমিক, সর্বহারা, গ্রামের প্রান্তিক চাষি ও বস্তিবাসী ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। ৩০ লক্ষ শহীদের বেশীরভাগই ছিল এইসব স্বল্প আয়ের প্রান্তিক মানুষ। তাই সমতাভিত্তিক অর্থনীতি ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে ‘সমাজতন্ত্র’ স্থান পায়। এছাড়াও ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও সমাজতন্ত্রের কথা উল্লেখ ছিল।

♦ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল: এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামসহ ধর্মব্যবসায়ীদের দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে গণহত্যা ও নারী নির্যাতনে সহায়তা করেছে এবং নিজেরাও এই অপকর্মে জড়িত হয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধু ৭২-এর সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন।

♦ দালাল আইন: রাজাকার, আলবদর আলশামস যারা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ‘দালাল আইন’ প্রণয়ন করেন। এই আইনকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের রক্ষা কবচ বলা চলে। একমাত্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো সভ্য রাষ্ট্র এই আইন প্রবর্তন করতে পারেনি।

বাহাত্তরের সংবিধানটি হলো মুক্তিযুদ্ধের ফসল। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ৪ লক্ষ সম্ভ্রমহারা নারীর অশ্রুজলে সিক্ত এই সংবিধান। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিকশিত চেতনা ও মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার যুগোপযোগী দিক নির্দেশনা। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এমন একটি প্রগতিশীল আধুনিক সংবিধানকে পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনীর ছুরিতে ক্ষত বিক্ষত করে লক্ষ্যচ্যুত করা হয়। সংবিধানের গায়ে পরানো হয় মধ্যযুগীয় ধর্মীয় লেবাস। জিয়া ৫ম সংশোধনী দ্বারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে বৈধতা প্রদান করে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে জিয়ার আদর্শিক উত্তরসূরী স্বৈরাচার হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনী জারি করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন মাধ্যমে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।

দুর্বার গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ ১৯৯০ সালের ৯ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামের সমর্থনে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন। স্বাভাবিক কারণেই এসময়ে বাহাত্তরের সংবিধান ফেরৎ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরীষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করলেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরীষ্ঠতা না থাকায় বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরৎ যাওয়া সম্ভব ছিল না।

২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এবং বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় দেন এবং ২০১০-এর ২ ফেব্রুয়ারি কিছুটা সংশোধনপূর্বক উচ্চতর আদালত এই রায়ের পক্ষে সমর্থন দেয়। উচ্চতর আদালতের ঐতিহাসিক এই রায়ের ফলে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
উচ্চতর আদালতের এই রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধনের জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সংসদীয় কমিটি গঠন করেন।

দীর্ঘদিন বিজয়ী জাতির দাবি ছিল বাহাত্তরের সংবিধানের মূল কাঠামোতে ফিরে যাওয়া। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের চারটি মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মরিপেক্ষতা অবিকলভাবে পুনঃস্থাপিত হয়েছে সত্য, তবে একই সঙ্গে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ও অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে। ফলে সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ দুটি পরস্পর বিরোধী মৌলনীতি অবস্থান করছে।

সংবিধানে এধরনের সাংঘর্ষিক অবস্থা কখনও কাম্য হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল— বঙ্গবন্ধুর প্রবর্তিত বাহাত্তরের সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদটি আবার পুনঃসংযোজিত হবে এবং তার ফলে ধর্মভিত্তিক দলগুলো রাজনীতি করার অধিকার হারাবে, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদালতের রায়ে পুনরুজ্জীবিত ৩৮ নং অনুচ্ছেদকে সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই সুবিধাবাদী নীতির ফলে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির পথ উন্মক্ত হয়েছে আর কেড়ে নিয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার আর মুক্তচিন্তার পথ হয়েছে রুদ্ধ। কাজেই বলা যেতে পারে আমরা এখনও পুরোপুরি বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে পারিনি। বাহাত্তরের সংবিধান পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়া কখনও সম্ভব নয়।

পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হওয়ার পর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য— বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া। বাস্তবতা মেনে নিয়েই এবার সাধ এবং সাধ্যের সম্মিলন ঘটানো যায়নি।

সাধ ও সাধ্যের সম্মিলন ঘটিয়ে যাতে পুরোপুরি বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া যায় সে লক্ষ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জনগণকে সচেতন করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।


লেখক: সমাজকর্মী ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।