‘চিতলমারী উপজেলা সাহিত্য পরিষদ’-এর উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পাঁচটায় ঐতিহ্যবাহী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের বঙ্গবন্ধু কর্নারে এ মিলনমেলা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারী তালা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মনিমোহন মণ্ডল, শেরে বাংলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোহাসীন রেজা, কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুখময় ঘরামী, উপজেলা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক পংকজ মণ্ডল।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সুরঞ্জন দেবনাথ, চন্দ্র শেখর মিস্ত্রি, মোর্শেদুল ইসলাম রাজিব, তাপস বিশ্বাস, সাহিত্যিক দেবকী মল্লিক, সাংবাদিক কপিল ঘোষ, কবি শিউলি মজুমদার, ব্যাংকার মাধব ব্রহ্ম প্রমুখ। সাহিত্য আড্ডা ও মতবিনিময় সভা শেষে অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত কথা সাহিত্যিক অসীম বিশ্বাস মিলনের লেখা ‘মিলনের ছোট গল্প’ দ্বিতীয় খণ্ড বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের বাংলার প্রভাষক মনিমোহন বিশ্বাস।
উক্ত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে কবি ও সাহিত্যিক অসীম বিশ্বাস মিলন বলেন “ছোটবেলা থেকেই আমি সহিত্যের প্রতি অনুরক্ত হই— ঈশ্বরের অপরূপ সৃষ্টি এই জগৎ সংসার, প্রকৃতির রূপলাবণ্য আর মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে। আমি প্রতিনিয়তই শিক্ষাগ্রহণ করে চলেছি বই পড়ে, জ্ঞানীগুণীদের সান্নিধ্যে এসে, প্রকৃতির কাছ থেকে। এসব শিক্ষার মধ্য থেকে যদি একটি দু’টি শিক্ষা মানুষকে দিয়ে যেতে পারি তাতেই আমার সার্থকতা। আপনারা আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু, বড়ই আপনজন এবং অত্যন্ত কাছের মানুষ, আপনারা কষ্ট করে এসেছেন এতে আমি আপনাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ! বইটি প্রুফ দেখে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন চিতলমারী সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের বাংলার প্রভাষক আমার বন্ধুবর বাবু মনিমোহন বিশ্বাস। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত ‘মিলনের ছোটগল্প-দ্বিতীয় খণ্ড’—আমার এ গ্রন্থটিতে রয়েছে কঠিন বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয় ও কাল্পনিক চিন্তার নিরিখে রচিত সাতটি গল্প। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে বইটি পড়ে। বইটি পড়ে যদি এতটুকু আনন্দ দিতে পারি তাতেই আমি তৃপ্ত ও সার্থক। বইটিতে যে ভুল ভ্রান্তি রয়েছে তা আমার দিক থেকে সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। আশাকরি সেসব ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং সঠিক সমালোচনা করে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন। হে মহৎজন, আমাকে আশীর্বাদ করবেন, যাতে আপনাদের আশীর্বাদ পেয়ে আমি আরো ভালো ভালো সাহিত্যরস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি। পরিশেষে চিতলমারী উপজেলা সাহিত্য পরিষদ ও আয়োজকমণ্ডলীসহ আজকের এই চমৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রদান করে আমি আমার এ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।”