Headlines

করোনার এ দুর্যোগকালে জামাত ইসলামীর অপতৎপরতা: নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা

বাংলাদেশ

সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মনজুকে সদস্য সচিব করে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ (এবিপার্টি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করেছে ‘জন আকাঙ্ক্ষার’ বাংলাদেশ। গত একবছর সারাদেশে জনসংযোগ ও নানান যাচাই-বাছাই শেষে রাজধানীর বিজয় নগরের দলীয় কার্যালয় থেকে শনিবার (২ মে) এ ঘোষণা দেওয়া হয়।বাংলাদেশ

এবি পার্টির নতুন কমিটিতে মেজর (অব.) ডা. আবদুল ওহাব মিনার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামসহ ৭ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ৯ জনকে সহকারী সদস্য সচিব করে ২২২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমান বাংলাদেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা (জামাত) কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে। কৌশলের অংশ হিসেবে নবগঠিত দলের আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন,  ‘ক্রান্তিলগ্নে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতির পরিবর্তে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়ে শেষ সময়টুকু উৎসর্গ করতে চাই। আমাদের নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান নিয়ে দেশের যে প্রান্তেই গিয়েছি মানুষের সমর্থন পেয়েছি। দলের আত্মপ্রকাশের এই শুভলগ্নে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহীদ ও সব দেশপ্রেমিক নেতাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের সাত দফা কর্মসূচী উপস্থাপন করেন  প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, দলের গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন তাজুল ইসলাম। ২২২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের তরুণ নেতা ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া।

জামাতের এ নতুন কৌশল এবং করোনার দুর্যোগের মধ্যে তাদের আত্মপ্রকাশ বিষয়টিকে সচেতন নাগরিক সমাজ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, “১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামাত ইসলামী বহুবার তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে, দলের নাম পরিবর্তন করেছে, কিন্তু তাতে তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ১৯৭১-এর গণহত্যাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী জামাতের নেতাদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে তারা কোণঠাসা রয়েছে, তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে, তাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং জনসমর্থন বলে এখন আর কিছুই নেই —এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তাদের একটা অংশ নতুন দল ঘোষণা করলেও কার্যত এটা মূল জামাতেরই অংশ। আমরা আমাদের নির্মূল কমিটির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাব, একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল সংগঠনকে আমরা আহ্বান জানাব এদের যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারী করার জন্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা সক্রিয় তাদেরকে আহ্বান জানাব এদের অপপ্রচার, বাংলাদেশ ও সংবিধান বিরোধী সকল ধরনের কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য, এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কার্যক্রমে যুক্ত থাকার জন্য।”