Headlines

জনকণ্ঠের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক এবং অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের বিরুদ্ধে মামলা

জনকণ্ঠ সম্পাদক
জনকণ্ঠ সম্পাদক
মানহানির অভিযোগে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ শাহদাৎ হোসেনের আদালতে রবিবার মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
 
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিবাদীদেরকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
 
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন এবং জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
 

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২০ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘সংখ্যালঘুদের উদ্বেগ ও একরৈখিক চিন্তাভাবনা’ শীর্ষক কলামে মুনতাসির মামুন লেখেন,

এ প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছে আমার ছিল না, কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছি। বিশেষ করে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক যখন প্ররোচনামূলক মিথ্যা বক্তব্য রাখেন তখন কিছু বলতেই হয়। প্রামাণিক বলেন, “খুনী গ্রেফতার ও শাস্তি না হওয়ায় জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছে, সরকার ইচ্ছা করেই এই খুনীচক্রের মূল্যেৎপাটন করছে না। হিন্দু সম্প্রদায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, বাড়িঘর, মন্দির হারিয়ে, যাদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠায়, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে কোন ভূমিকা রাখেন না।

তিনি উদ্ধৃত করেছেন,

হিন্দু মহাজোটের সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, “হিন্দু নারীরা এখন নিরাপত্তার অভাবে হাতের শাঁখা খুলেও সিঁদুর মুছে চলাফেরা করেন।” [প্রথম আলো, ১৮.৬.২০১৬]

তিনি আরও কিছু কথা বলেছেন, যা পত্রিকায় আসেনি। কিন্তু দু’একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, তা’হলো, তিনি বলেছেন, হিন্দু মহিলাদের এখন বোরখা পরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। শুধু তাই, নয়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজো অর্চনা বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি লিখেছেন,

মুরুব্বি ধরে কোন লাভ হবে না। তিনি কিছুই করতে পারবেন না। হ্যাঁ, এসব ঘটনায় আমরা যারা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে ছিলাম তারা ক্ষতিগ্রস্ত হব কিন্তু তার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সংখ্যালঘু বিশেষ করে নিম্নবর্গের সংখ্যালঘুরা। উচ্চ বর্গের সংখ্যালঘুদের তখনও কিছু হয়নি। এখনও কিছু হবে না।
অধ্যাপক মুসতাসির মামুন লিখেছেন,
এই গোবিন্দ প্রামাণিক কে? তিনি ছিলেন জামায়াতে ইসলামের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। গোলাম আযম জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গোবিন্দ তাকে অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলেন। সে সময়ের পত্র-পত্রিকা দেখুন। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের নির্বাচন চলাকালীন ভায়োলেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগই এসব কাজ করছে এবং দায় চাপাচ্ছে জামায়াতের ওপর। তিনি যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন, তা অনেক পত্রিকাই ছাপেনি। প্রথম আলো বড় শিরোনামে তা প্রকাশ করলেও, পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি। এ মিথ্যাচার হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়কে উত্তেজিত করা, সংখ্যাগরিষ্ঠকে অপবাদ দেয়া এবং দাঙ্গা লাগানোর প্রচেষ্টা।

অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক মনে করছেন তাকে সামাজিক, মানসিক, ধর্মীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কুমানসে উক্ত লেখাটি লেখক তৈরি করেছেন এবং পত্রিকাটি তা ছেপেছে।


সূত্র: ইত্তেফাক