গত ২০ ফেব্রুয়ারি (২০২২) তারিখে দেওয়া রায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট কোর্ট ড. কাজী ফারুক আহম্মদকে প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট হিসাবে রায় বহাল রেখেছেন। উল্লেখ্য, কাজী ফারুক আহম্মদের পক্ষে তার মনোনীত ব্যক্তি আফাজ উদ্দিন মিরপুর মডেল থানায় ৬৯৪/২১ নং জিডি করে এই মর্মে যে, জনাব সিরাজুল ইসলাম প্রশিকার নকল সিল ও প্যাড তৈরি করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার প্রশিকার অফিসের ঋণের টাকা ও ইন্টারেস্ট অবৈধভাবে আদায় করে তা আত্মসাৎ করছেন। উক্ত জিডির পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বিষয়টি পুনরায় পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া কোর্টের বিভিন্ন রায়ের কপি, উভয়পক্ষ অর্থাৎ জনাব সিরাজুল ইসলাম ও কাজী ফারুক আহম্মদের বৈধতার বিভিন্ন কাগজপত্র ও বৈধ গভার্নিং বডি কর্তৃক অপসারিত ও নিযুক্তির সকল প্রমাণপত্র পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রশিকার কেন্দ্রীয় অফিসসহ বিভিন্ন এডিসি বা ব্রাঞ্চ অফিসগুলোতে সরেজমিনে তদন্ত করে কাজী ফারুক আহম্মদকে সাবেক চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট হিসাবে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
কাজী ফারুক আহম্মদের মনোনীত ব্যক্তি আফাজ উদ্দিন উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে পুনরায় গত ১৬.০২.২০২২ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি নারাজি মামলা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট কোর্ট বিষয়টি সম্পর্কিত সমস্ত প্রমাণিত কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে গত ২০.০২.২০২২ নারাজি আবেদনটি নামঞ্জুর করে কাজী ফারুক আহম্মদকে প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট হিসাবে রায়ই বহাল রাখেন। এখানে উল্লেখ্য যে, গত ২৪ মে ২০০৯ তারিখে প্রশিকার বৈধ গভার্নিং বডি কাজী ফারুক আহম্মদকে সংস্থার বিভিন্ন সম্পদ ও কর্মী বাহিনীকে অনৈতিক ও অসাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে তার রাজনৈতিক উচ্চবিলাস চরিতার্থে রাজনৈতিক দল গঠন (ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন) করায় এবং সেই দল থেকে ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ফলে প্রশিকার বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ায় এবং কর্মী ও সঞ্চয়ী সদস্যদের সকল প্রকার জমানো অর্থ কাজী ফারুকের নির্বাচনী খরচে ব্যবহার করা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও কর্মীদের চরম অসন্তোষ-বিদ্রোহের কারণে কাজী ফারুক আহম্মদকে প্রশিকার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করতে বাধ্য হন। অপসারণের সেই সভায় গভার্নিং বডির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে প্রশিকার মূল মামলা ৩১/২০১০ নং নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বৈধ গভার্নিং বডি কর্তৃক কাজী ফারুক আহম্মদ অপসারিত প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান এবং জনাব রোকেয়া ইসলাম বৈধ চেয়ারম্যান ও জনাব সিরাজুল ইসলাম বৈধ প্রধান নির্বাহী হিসাবে নিযুক্ত হোন।
জুয়েনা ইয়াছমিন, প্রশিকা তথ্য নথিবদ্ধকরণ ও গণসংযোগ বিভাগ।