আজ (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ফরিদপুরের বহুল আলোচিত উপজেলা চরভদ্রাসনের চরভদ্রাসন থানা কর্তৃক আয়োজিত “কমিউনিটি পুলিশিং ডে, ২০২০” উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্যনারে এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: কাউসার মোল্লাকে “উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, চরভদ্রাসন, ফরিদপুর” উল্লেখ করে দিবসটি উদযাপন করেছেন ওসি নাজনীন খানম, অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং স্থানীয় অনেকের।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মোতালেব হোসেন মোল্যার পদবী হিসেবে “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান”-এর স্থলে “ভাইস চেয়ারম্যান” লেখা হয়। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর (২০২০) অনুষ্ঠিত চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হন মো: কাউসার। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী পরবর্তীতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন ও নির্বাচনে বিপুল কারচুপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তদন্তটি চলমান রয়েছে।
স্থগিত নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী প্রার্থীকে তদন্ত চলমান অবস্থায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উল্লেখ করা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ বিষয়ে ওসি নাজনীন খানমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফলাফল স্থগিত হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। এরকম কোনো নির্দেশনা তার কাছে নেই। ব্যানারে মো: মোতালেব মোল্যার পদবী “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান”-এর পরিবর্তে ”ভাইস চেয়ারম্যান” লেখার বিষয়টিকে তিনি যারা লিখেছেন তাদের ভুল হয়ে থাকতে পারে বলে জানান। তবে এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে, এবং তদন্ত চলমান আছে। ফলে বিজয়ের বিষয়টি এখনো গেজেট হিসেবে প্রকাশিত হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে উক্ত নির্বাচনের দোয়াতকলম প্রতীকের প্রার্থী জনাব ফয়সাল হাসান জানান ”পুলিশের এমন আচরণ পক্ষপাতমূলক এবং আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচনে পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে কারচুপির সাথে জড়িত হয়ে এমপি সমর্থিক প্রার্থীকে নগ্নভাবে সমর্থন করে যার অনেক প্রমাণ আমি ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটির নিকট দাখিল করেছি। আর আজকের বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করেছি এবং আগামীকাল সকালে আমি এ বিষয়ে আইনগত প্রতিকার পাবার জন্য লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।”