Headlines

হিজাব পরিহীত এই নারী কে?

হিজাব/বোরখা

উত্তরার জমজম টাওয়ারের ওয়েস্ট ফিল্ড দোকানের সিসি ক্যামেরায় হিজাব পরা এক নারীকে ক্রেডিড কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। সিসি ক্যামেরার এই নারীকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। কারণ, তার ক্রেডিট কার্ডগুলো ছিল চোরাই। ছবি দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এই নারী চোরাই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এসব কেনাকাটা করছেন।

উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ  নিয়ে আসেন এক নারী। তার বাসা গুলশানে। তিনি অভিযোগে জানান, ঘটনার দিন দুপুর সোয়া দুটার দিকে তিনি উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরে অবস্থিত মাসকট প্লাজার কুপারস ফাস্ট ফুডের দোকানে যান। সেখান থেকে তিনি কিছু খাবার কেনার পর বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দেখেন যে, তার ওয়ালেটটি নেই। তিনি বুঝতে পারেন ওয়ালেটটি চুরি হয়েছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও পাননি।

পুলিশ জানায়, ওই নারীর ওয়ালেটের ভেতরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, লঙ্কা বাংলার মাস্টার কার্ড, স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র), ড্রাইভিং লাইসেন্স, অস্ট্রেলিয়ান ড্রাইভিং লাইসেন্স, ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড এবং তার ছেলের জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল বলে পুলিশকে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ওই দিন বেলা সোয়া তিনটার দিকে তার মোবাইল ফোনে মেসেজ আসে— তার ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে জমজম টাওয়ারের ওয়েস্ট ফিল্ড দোকান থেকে স্যুট, প্যান্ট, টি-শার্ট ও জুতা ক্রয় করা হয়েছে। একই দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আরেকটি মেসেজ আসে— উত্তরার ডেলাইট ফ্যাশন হতে তার লঙ্কা বাংলার মাস্টার কার্ডটি ব্যবহার করে ৩৫ হাজার ৪০০ টাকার জিনিসপত্র ক্রয় করা হয়েছে। তিনি দ্রুত ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে চুরি হয়ে যাওয়া সব কার্ডের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এরপর তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করে। ওই ফুটেজ থেকে এক নারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। যিনি ক্রেডিড কার্ড ব্যবহার করে মোট এক লাখ সাত চল্লিশ হাজার চারশ’ টাকার মালামাল ক্রয় করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

তবে পুলিশ ওই নারীর নাম, ঠিকানা কিছুই নিশ্চিত হতে পারেনি। তাকে গ্রেফতারে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পুলিশ সন্দেহভাজন নারীর একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান জানান, ওই নারীকে কেউ চেনে না। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছি।


সংবাদ: বাংলাট্রিবিউন