বহুমাত্রিক, প্রথাবিরোধী লেখক, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে তিনি মারা যান। এর আগে একই বছর একুশে বইমেলায় হুমায়ুন আজাদের ওপর মৌলবাদী সন্ত্রাসী হামলা হয়।
১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন আজাদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রবন্ধের বই ‘নারী’। বইটি প্রকাশের পর তিনি মৌলবাদীদের তীব্র রোষানলে পড়েন। এরপরে আরো অনেক লেখার জন্য তিনি ধর্মীয় মৌলবাদীদের টার্গেটে পরিণত হন।
তার সাতটি কাব্যগ্রন্থ হলো— ‘অলৌকিক ইস্টিমার’, ‘জ্বলো চিতাবাঘ’, ‘সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’, ‘যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল’, ‘আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে অন্যতম’। তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে রয়েছে- ‘ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল’, ‘সব কিছু ভেঙে পড়ে’, ‘যাদুকরের মৃত্যু’, ‘শুভব্রত’, ‘তার সম্পর্কিত সুসমাচার’ অন্যতম।
প্রবন্ধ ও গবেষণার মধ্যে রয়েছে— রবীন্দ্র প্রবন্ধ: রাষ্ট্র্র ও সমাজচিন্তা, শামসুর রাহমান: নিঃসঙ্গ শেরপা, বাংলা ভাষার শত্রুমিত্র, কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু, বাক্যতত্ত্ব, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ, দ্বিতীয় লিঙ্গ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি বহু শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা ও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন।