ইংরেজি সাহিত্য ও সাহিত্যিক : আদী থেকে বর্তমান (দ্বিতীয় পর্ব)

Volpone or the fox

ইংরেজি সাহিত্য ও সাহিত্যিক একটি বিস্তৃত বিষয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি -ইত্যাদি অনেক কিছু পাশাপাশি আলোচনা করার প্রয়োজন হয়। ‘লামিয়া’ বইটি সে চাহিদা অনেখানি মেটাবে বলে বিশ্বাস করি। এখানে মূলত ইংরেজি সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য এবং সাহিত্যিক সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ বই নিয়ে একটু বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। দু’ একটি কবিতার অনুবাদ করা হয়েছে। তবে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- ইংরেজি সাহিত্যের প্রধানতম সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। 

১. ফেইরি কুইন (১৫৯০-১৫৯৬)


এডমান্ড স্পেন্সার (১৫৫২–১৫৯৯) এলিজাবেথান পিরিয়ডের বিখ্যাত একজন লেখক। ফেইরি কুইন  ইংরেজি সাহিত্যের একটি অনবদ্য সৃষ্টি।

কাব্যগ্রন্থটি স্পেন্সার তিন দফায় লেখেন। প্রথম তিন খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৫৯০ সালে। Ice and Fire  স্পেন্সারের বিখ্যাত একটি কবিতা। ফেইরি কুইন  কাব্যগ্রন্থে The Faerie Queene তার বিখ্যাত একটি দীর্ঘ্য কবিতা।

স্পেন্সারকে বলা হয় কবিদের কবি। উইলয়িাম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, জন কিটস, র্লড বায়রন, আলফ্রডে র্লড টেনিসনের মত পরবর্তী প্রথম সাররি কবিরা তার কাব্যের সমজদার ছিলেন।

Ice And Fire – by Edmund Spenser

My love is like to ice, and I to fire:
How comes it then that this her cold so great
Is not dissolved through my so hot desire,
But harder grows the more I her entreat?
Or how comes it that my exceeding heat
Is not allayed by her heart-frozen cold,
But that I burn much more in boiling sweat,
And feel my flames augmented manifold?
What more miraculous thing may be told,
That fire, which all things melts, should harden ice,
And ice, which is congeal’d with senseless cold,
Should kindle fire by wonderful device?
Such is the power of love in gentle mind,
That it can alter all the course of kind.


২. দ্যা জিউ অফ মাল্টা (১৫৯০-১৫৯৪)


ভূমধ্যসাগরের মাল্টা দ্বীপে সংগঠিত স্পেন এবং অটোমান সম্রাজ্যের মধ্যে সংগঠিত একটি ধর্মযুদ্ধকে কেন্দ্র করে Christopher Marlowe নাটকটি লিখেছিলেন।

বলা হয়- শেকসপিয়রের The Merchant of Venice নাটকটি মারলোর The Jew of Malta ’র অনুকরণে লেখা হয়েছে।


৩. ভোলপনে (১৬০৬)


ভোলপনে একটি কমেডি নাটক। এটি জ্যাকোবান যুগের (১৫৬৭-১৬২৫) সেরা নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভোলপনে একজন ধূর্ত শিয়াল, সে নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র। মূলত ভোলপনে চরিত্রটি এমনভাবে পুরো নাটক জুড়ে একটা সাসপেন্স তৈরি করে রাখে যে দর্শক বাধ্য হয় মঞ্চ আঁকড়ে থাকতে। উল্লেখ্য, বইটি প্রকাশের আগেই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।

ভোলপনে মূলত একজন ধনী ব্যক্তি, নাটকে সে ভেনিশের লোভী মানুষদের ফাঁদে ফেলে এবং আরো ধনী হয়। ভোলপনে ধনী হয় এবং অসুস্থতার ভাণ করে, শহরের লোভী মানুষেরা তাকে উপহার পাঠায়। মূলত নাটকটিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে ভয়ঙ্কর লোভের বশবতী হয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরণের ভুল এবং অপরাধকর্মে নিযুক্ত হয়।

ভোলপনে ছলনাকারী, যে ছলনা করে এবং ছদ্মবেশ ধারণ করে, প্রতারণা করে আনন্দ পায়। যে পটভূমি সৃষ্টি করে ভোলপনে নিজের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে সেটি দুর্বোধ্য হলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে সে খুব সহজ হিসেবে উপস্থাপিত হয়। ভোলপনে পুরো নাটক জুড়ে অন্যকে বোকা বানাতে থাকে এবং শেষে সে বোকা হয়, তার সঙ্গীরাও নিজেদের ফাঁদে নিজেরা পড়ে।

নাটকটির মূল কৃতিত্ব শুধু কাহিনীতে নয়, সংলাপ রচনা এবং ভাষা শৈলীতেও ভোলপনে নাটকটি অনবদ্য। নাটকে সিলিয়া যেভাবে চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে সেটিও পাঠককে আকৃষ্ট করে। প্রথম দেখায় সিলিয়াকে যেভাবে কল্পনা করেছিল ভোলপনে পাঠকও সেভাবে তাকে চিন্তা করতে বাধ্য হয়, কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সিলিয়া তেমন নারী নয়। অর্থাৎ, নারীদের সম্পর্কে পুরষের সে সহজ ধারণা সেটি লেখক সিলিয়া চরিত্রের মধ্য দিয়ে ভুল প্রমাণ করেছে।


বেন জনসন (১৫৭২-১৬৩৭) এলিজাবেথান পিরিয়ডের বিখ্যাত নাট্যকার। শেকসপিয়রের পর তাকেই ইংরেজি সাহিত্যের সেরা নাট্যকার ধরা হয়। একইসাথে তিনি কবিও ছিলেন। তিনি মূলত গীতিকবিতা লিখতেন। On My First Sonne (son), বেন জনসন  ’র উল্লেখযোগ্য একটি কবিতা। To Celia তার অসাধারণ একটি গীতিকবিতা।


To Celia

Drink to me only with thine eyes,

And I will pledge with mine;

Or leave a kiss but in the cup,

And I’ll not look for wine.

The thirst that from the soul doth rise

Doth ask a drink divine;

But might I of Jove’s nectar sup,

I would not change for thine.

I sent thee late a rosy wreath,

Not so much honouring thee

As giving it a hope, that there

It could not withered be.

But thou thereon didst only breathe,

And sent’st it back to me;

Since when it grows, and smells, I swear,

Not of itself, but thee.



কবিতাটি (টু সিলিয়া) ইংরেজিতে একটি বিখ্যাত গান হিসেবে গীত হয়। Twelfth Night নাটকে শেকসপিয়রের বিখ্যাত গান “O mistress mine where are you roaming” কবিতার সাথে বেন জনসনের To Celia কবিতাটি তুলনীয়।


O Mistress mine where are you roaming?

O Mistress mine where are you roaming?

O stay and hear, your true love’s coming,

That can sing both high and low.

Trip no further pretty sweeting.

Journeys end in lovers’ meeting,

Every wise man’s son doth know.

What is love, ’tis not hereafter,

Present mirth, hath present laughter:

What’s to come, is still unsure.

In delay there lies no plenty,

Then come kiss me sweet and twenty:

Youth’s a stuff will not endure.


৪. হেসপেরেডিস (১৬৪৮)

  • To the Virgins

  • Upon Julia’s Clothes 

  • To Daffodils

          by Robert Herrick


♣ হেরিকের কবিতাগুলি “নেবেল নামবার্স” এবং “হেসপেরেডিস” নামে দুই খণ্ডে কাব্য সংকলতি হয়।To the Virgins কবিতাটি হেসপেরেডিস  সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।

♠ কথিত আছে–রবার্ট হেরিক (১৫৯১-১৬৭৪) সাহিত্যের সরাইখানায় যেতে যেতে কবি হয়েছেন। মদ, নারী, সঙ্গিতের প্রতি হেরিকের বিশেষ ভালোবাসা (মোহ) ছিল। যাজক হয়েছিলেন মূলত জীবিকার তাগিদে। To Daffodils কবিতাটিতে Donn-এর  কবিতার নৈরাশ্যবাদের প্রতিধ্বনি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে হেরিকের কবিতাগুলি তাত্ত্বিকভাবে থমাস ন্যাশের কবিতার কাছাকছি।


Gather ye rosebuds while ye may,
   Old Time is still a-flying;
And this same flower that smiles today
   Tomorrow will be dying.

The glorious lamp of heaven, the sun, 
   The higher he’s a-getting,
The sooner will his race be run,
   And nearer he’s to setting.

That age is best which is the first,
   When youth and blood are warmer;
But being spent, the worse, and worst
   Times still succeed the former. 

Then be not coy, but use your time,
   And while ye may, go marry;
For having lost but once your prime,
   You may forever tarry.

৫. হোলি সনেটস (১৬৩৩)

  • Batter My Heart

  • Death Be Not Proud  By John Donne

    Batter My Heart এবং Death Be Not Proud কবিতা দুটি  হোলি সনেটস  বা ডিভাইন সনেটস কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।


জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এলিজাবেথান পিরিয়ডের একজন বিখ্যাত কবি এবং গীর্জার পাদ্রী ছিলেন। ডান ’র কবিতাগুলি বৈচিত্রময় এবং দ্ব্যার্থবোধক। তার প্রেমের কবিতা যেমন উল্লেখযোগ্য, একইসাথে আধ্যাত্মিক কবিতাগুলিও বিখ্যাত। ডানের কবিতায় সিদ্ধান্তহীনতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। দেখা যায় প্রথম স্তবকে তিনি যা বলেন, পরে এসে তার বিপরীত কথা বলছেন, এজন্য তাকে প্যারাডক্সিকাল পোয়েটও বলা হয়।


মৃত্যু, তুমি গর্বিত হইও না

মৃত্যু তুমি গর্বিত হইও না, যদিও অনেকে তোমাকে বলে
তুমি চিরন্তন এবং ভয়ংকর, না তুমি তা নও,
যাদেরকে তুমি পরাজিত করেছে বলে ভাব,
তারা মরে না, দরিদ্র মৃত্যু, আমাকেও তুমি মারতে পারো না।
বিশ্রাম এবং ঘুমের ছবিতে দেখি তোমার মূর্তি,
বিশ্রামে কত সূখ, তাহলে তোমাতে আরো কত না সূখ,
আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তোমার সাথে গিয়েছে,
দেহ ফেলে আত্মার মুক্তিতে।

তুমি ভাগ্যের দাসত্ব কর, তুমি দাসত্ব কর সুযোগের,
রাজাদের এবং উদ্বিগ্ন সকল মানুষের,
তুমি বিষে, যুদ্ধে এবং মহামারিতে সংগঠিত মৃত্যু কুড়াও,
এভাবে মাদকওতো আমাদের ঘুমিয়ে রাখে,
সে ঘুম তোমার চেয়েও কড়া; তাহলে কিসের তোমার এত গর্ব;
একটি ছোট্ট ঘুম কেটে গেলে চিরতরে আমরা জেগে উঠব,
এবং মৃত্যু বলে কিছু থাকবে না; মৃত্যু, তুমিই বরং মরবে।

মূল : জন ডান
অনুবাদ : দিব্যেন্দু দ্বীপ


ইংরেজি সাহিত্য : গুরুত্বপূর্ণ বই নিয়ে আলোচনা (প্রথম পর্ব)

English Literature by Dibbendu Dwip