দিব্যেন্দু দ্বীপের অসাধারণ দুটি আত্মজিজ্ঞাসামূলক কবিতা

দিব্যেন্দু দ্বীপের কবিতা

জানি
আকাশ হতে পড়বে না কোনো রাণী,
রাজ্য বা তোমায় পাবার মূলধন।
তবু শূন্যের সাথে পরিণয়,
শৈর্যে বীর্যে বেঁচে থাকার অভিনয়।
রোজ কিছু পরিবর্তন-
এই যেমন, আরো একটা কবিতা বা গদ্য রচনা,
মুহুর্মুহু আনমনা, মনে মস্তিষ্কে সত্যের আনাগোনা।
কী মানে এসবের?
শুধু শুধু গড়মিল হয় ছোট্ট এ জীবনের।
এর চেয়ে ভালো খাদ্য ভালো,
এই যেমন, বলি পাঠার মাংস ভালো,
এর চেয়ে কলরব আর কোলাহল ভালো,
এর চেয়ে আগন্তুকের সাথে একটু প্রেম ভালো।
এভাবে রোজ কিছু পরিবর্তন—
এই যেমন, পাতায়া সী বিচ বা লুভর মিউজিয়াম দর্শন,
বলতে পারো এক জীবনে মানুষের হয় কতবার বিবর্তন?
রাজনীতিক বা ব্যবসায়ী, কাকে তোমরা বলবা কবি,
জানো কি কে কবে বদলে ফেলেছে তার জীবনের ছবি?

বলি না এসব—
বিচারক তুমি ধূর্ত, ‍ঘুষখোর, একরোখা, গোয়ার,
রাজনীতিক তুমি চোর বাটপাড়,
শিক্ষক তুমি এদেশে ভিন্ন আরেক প্রকার।
মোল্লা, মৌলবি পুরোহিত তোমরা জানি
ওদেরই উচ্ছিষ্টের ভাগিদার।

বলি না কেন জানেন?
লেখক, এরাও ঠিক অংশিদার।
আশ্রিত-অনুনয়-বিনয়, কারণ,
এসব লেখকেরা পেতে চায় কিছু পুরস্কার।

বলি না, কারণ, কেউ নেই কোথাও এমন
ঠিক যেমন এখন প্রয়োজন।
একা একা হেঁটে যাই
কেবল হাঁটতে শেখা ক্লান্ত শিশুর মতো,
কিছুক্ষণ পরে ধপাস!
মানুষেরা কেউ দেখেনি, দেখবেও না,
এ পথে কোনো মানুষের নেই আর চলাচল,
একটা দুবৃত্ত ছুটে আসে মানুষের মতো ঠিক অবিকল।

অট্টহাসি হেসে টেনে তোলে ও আমায়,
ফোঁস ফোঁস না করে ফিসফিস করে,
দেখে শত্রুর এমন দিগ্বিদিক পরাজয়।
আবার ধপাস! ধপাস! ধপাস!
কেউ না কেউ ওরা আসে প্রতিবার,
টেনে তোলে মুহুর্মুহু অহমিকায় বারবার।
কখনো আসে মজা পেতে স্বামী-স্ত্রী যুগলে,
ওরাই নাকি এভাবে আমাদের রাখে আগলে!

তবু এদেশ আমার,
কেউ কি তবে নেই কোথাও
যারা আমার মতো এমন পড়ছে রোজ ধপাস?
নাকি এ দেশে হয় এখন শুধু অমানুষের চাষবাস।


দিব্যেন্দু দ্বীপের কবিতা