বইটি লিখেছেন দিব্যেন্দু দ্বীপ, যিনি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে গত দশ বছর ধরে গবেষণা করে চলেছেন এবং যিনি নিজেও একজন স্বনামধন্য সাহিত্যিক। বইটিতে কোনো বাহুল্যতা নেই আবার প্রয়োজনীয় কোনো অংশ বাদও পড়েনি। মাত্র ৮০ পৃষ্ঠার এ বইটিতে ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডার থেকে সার-সংক্ষেপ তুলে আনা হয়েছে প্রধানত ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক বা পড়ছে —এমন শিক্ষার্থীদের জন্য। পাশাপাশি বইটি বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার্থীদের বিশেষভাবে কাজে লাগবে।
বইটিতে ইংরেজি সাহিত্যের অতি সার-সংক্ষেপ তুলে আনা হয়েছে। সাহিত্য, বিশেষত ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা না থাকার জন্য ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থীরা প্রথম ক্লাস থেকেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, যত দিন যায় বিষয়টি তাদের কাছে আরো দুর্বোদ্ধ ঠেকে, একসময় সবাই হাল ছেড়ে দিয়ে কোনোমতে পাশ করে বেরিয়ে আসতে চায়।
কিন্তু পাস করতে হলেও তো কিছু পড়াশুনা দরকার, জানাশোনা দরকার, তাছাড়া পাস করার পর কর্মজীবনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিজের বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা না থাকলে তা কোনোভাবেই কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
এছাড়া এখন বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাতে ইংরেজি সাহিত্যের প্রশ্ন আসে, বিশেষ করে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে পনেরো নম্বরের প্রশ্ন রাখা হয়েছে ইংরেজি সাহিত্য অংশ থেকে, ফলে বিষয়টির প্রত্যক্ষ প্রায়োগির গুরুত্ব তৈরি হয়েছে।
মূলত এসব দিক বিবেচনায় বইটি রচিত হয়েছে। গবেষণালব্ধ এ বইটিতে ইংরেজি সাহিত্যের সারাংশ তুলে আনা হয়েছে আমাদের দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত ইংরেজি সাহিত্যের সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে।
বইটিকে “এ ভেরি ইমপরট্যান্ট ইনট্রডাকশন টু ইংলিশ লিটারেচার” বলা যেতে পারে। সাহিত্যের সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতা-জীবন জড়িত, এদিক থেকে ইংরেজি সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বহুমুখী, তাই ইংরেজি সাহিত্যের উপর প্রাথমিক ধারণা রাখা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মনে করি।
বইটির দ্বিতীয় অংশে লিটারেরি টার্মস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ টার্মগুলো উদাহরণ সহযোগে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা ইংরেজি সাহিত্যের যেকোনো শিক্ষার্থী বা আগ্রহী যেকোনো পাঠক সহজে বুঝতে পারবে।
বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি সাহিত্য থেকে যে প্রশ্নগুলো আসে সে প্রয়োজনও মিটবে এ বইটি থেকে, কারণ, পরীক্ষাগুলোতে খুব অখ্যাত কিছু আসে না, ইংরেজি সাহিত্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বব্যাপি পরিচিত অংশ থেকেই প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে, যা বইটিতে চমৎকার সন্নিবেশে আলোচিত হয়েছে।
এক কথায় বইটি আগ্রহী পাঠককে ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের সহজ পথটি দেখিয়ে দেবে, যাতে তাকে ভুল পথে, দীর্ঘ পথে গিয়ে হিমশিম খেতে না হয়। ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তিচ্ছু এবং ইতিমধ্যে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে এ বইটি কেনার জন্য পরামর্শ দিতে চাই, উপকৃত হবেন নিশ্চয়ই।
আরো বেশি জানতে আগ্রহী পাঠকেরা দিব্যেন্দু দ্বীপ লিখিত ইংরেজি ‘সাহিত্য ও সাহিত্যিক’ বইটি পড়তে পারেন।