মৃত্যু এসে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে বারান্দায়,
গম্ভীর স্বরে মাঝে মাঝে আমাকে তাড়া দিচ্ছে।
আমি তাকে চিনতে পারি না,
আবার এটা নিশ্চিত যে সে কোনো পুলিশের লোক না,
কোনো সন্ত্রাসীও না, আমি তাকে চিনতে পারছি না।
আমি মোটেও তৈরি না,
আমার সন্তান আমাকে ছাড়তে চায় না,
আমিও তাকে ছাড়তে চাই না এখনই;
ও কথা বলে না,
অথচ কয়েকদিন ধরে ‘বাবা’ বলছে,
কয়েকদিন ধরে যেন কিছুতে আমাকে
ছাড়তেই চাইছে না।
আমি মোটেও তৈরি না,
কাজগুলো সব অসমাপ্ত
স্বপ্নগুলো সব অসংলগ্ন,
কেবল সবই একটু ছন্দ এলো,
হঠাৎ আমার দিন ফুরালো?
বিশ্বাস হয় না—বিরক্ত, বিধ্বস্ত, দুঃখিত আমি,
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি–
মৃত্যু এসে দাঁড়িয়ে আছে বারন্দায়,
আমার কি সাধ্য হয় তাকে প্রত্যাখান করার?
আমার কি সাধ্য হয় তাকে বরণ করার?
জীবনের সবই যে রইল বাকী–
আকাশকে বলেছিলাম, পরে দেখবো,
ঝরা ফুলকে বলেছিলাম, পরে কুড়াবো,
অচেনা পথটাকে বলেছিলাম, পরে চিনবো।
এখন যে বাঁচতে হবে, ওদের বাঁচাতে হবে।
সবই যেন হলো ফাঁকি!
এখন মৃত্যু এসে দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়,
আমার কি সাধ্য হয় তাকে বরণ করার?
আমার কি সাধ্য হয় তাকে প্রত্যাখান করার?
তবে এখন যেতে হবে
ক্লান্ত আমাকে গভীর ঘুমে ঘুমোতে হবে।
বাগেরহাট, ২৮/০৭/২০১৮