অকাল বোধন ।। দিব্যেন্দু দ্বীপ

প্রিয়ার কাছে প্রেম রেখেছিলাম,

ওদের আমি ভালোবেসেছিলাম।

পৃথিবীতে আরও একটু যেন

আলো জ্বেলেছিলাম, ছদ্মবেশে।

পাখি আজ উড়ে যেতে চায়

মুখে আকাশ বিঁধে।

কেয়ামতের দোহাই দিয়ে

ওরা অসিতে আওয়াজ তোলে!

মাকাল ফলের গণ্ধ পেয়ে

অন্ধ শিয়াল সত্তা ভোলে।

অবশেষে জেনেছে,

ওদের ঈশ্বর ঘুমায় আমারই কোলে।

দানব আসে ধর্মের বেশে, এদেশে;

অন্ধকার হতে ফুঁসে ওঠে ছাই ভস্ম,

জ্বলে ওঠে জঞ্জাল যত–

ওরা মাতাল উন্মাতাল

স্বর্গ সোপান খোঁজে,

ওরা না পিতা না মাতা

ওরা শুধু বেহেস্তের ক্রেতা।

পথে একটা বাঁক ছিল,

পথ জানে না।

মেঝেতে একটা গর্ত ছিল,

ঘর জানে না।

বুকে একটা ক্ষত ছিল,

আমি জানি না।

পথ ঘর আমি

এখন জোট বেঁধেছি,

সবাই এখন পথিক সেজেছি।

অবশেষে মানুষ চিনেছি।

না বলা কথা আছে,

বলতে হবে।

অন্ধকারে দেখতে হবে।

কাপড়গুলো খুলতে হবে,

সাদা দেয়াল ভাঙতে হবে।

আলো তাদের সইতে হবে।


দিব্যেন্দু দ্বীপ