জমির দাম হঠাৎ বাড়লে গরিব মানুষেরা কয়েকভাবে জমি হারায়। জমির দামের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রার
১. কর এবং খরচ বেড়ে যাওয়া
-
জমির দাম বাড়লে সরকারের হোল্ডিং ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সও বেড়ে যায়।
- সংকীর্ণ জমি হওয়ায় এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে না পারায় তারা জমি থেকে তেমন কোনো উপযোগ তৈরী করতে পারে না। এ কারণে জমি হয়ে থাকে তাদের কাছে শুধু ভবিষ্যতের অবলম্বন। অনেকে অভাবে পড়ে এবং বিরক্ত হয়ে জমি বিক্রি করে দেয়।
-
গরিব মানুষদের জন্য জমি ধরে রাখা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। অনেক সময় তারা শহরের জমির ট্যাক্স দিতে না পেরে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
২. দৈনন্দিন খরচ সামলাতে জমি বিক্রি
-
দাম বাড়ায় জমি “ক্যাশে রূপান্তর” করার লোভ থাকে।
-
হঠাৎ চিকিৎসা খরচ, মেয়ের বিয়ে, দেনা শোধ করার জন্য তারা জমি বিক্রি করে ফেলে। পরে সেই দামে আর জমি কিনতে পারে না।
৩. জমির দখলদারি ও দালালি চক্র
-
জমির দাম বাড়লে দালাল ও জমির দখলদাররা সক্রিয় হয়।
-
গরিব মানুষদের আইনি জ্ঞান কম থাকায় তারা জমির কাগজপত্রের ফাঁদে পড়ে জমি হারায়।
৪. জোরপূর্বক অধিগ্রহণ বা উন্নয়ন প্রকল্প
-
দাম বাড়ায় এলাকা ডেভেলপারের নজরে আসে। সরকার বা প্রাইভেট কোম্পানি প্রকল্প নেয়।
-
কম দামে জমি কিনে নেওয়া হয়, গরিবদের জন্য বিকল্প জমি বা ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট হয় না।
৫. সামাজিক চাপ
-
দাম বাড়ায় আশেপাশের ধনী মানুষরা বাড়ি বা বাণিজ্যিক বিল্ডিং করে।
-
গরিবদের জমি ছোট হয়ে যায়, পানির-বিদ্যুতের খরচ বাড়ে, এবং তারা সেই জীবনযাত্রা বহন করতে না পেরে জমি বিক্রি করে শহরের বাইরে চলে যায়।
৬. প্রজন্মগত জমি হারানো
-
একবার বিক্রি করলে পরের প্রজন্ম আর জমি কিনতে পারে না, ফলে তারা ভাড়াটে বা বস্তিবাসী হয়ে যায়।
এভাবে জমির দাম বাড়া গরিবদের জন্য সম্পদ তৈরি না হয়ে উল্টো জমি হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
