দোকানের মালিক সবুজ দত্ত দাবী করতেন— “আমার দোকানের সন্দেশ ও রসগোল্লা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বেশ পছন্দ। তিনি মাঝে মাঝেই এই দোকানের মিষ্টি বঙ্গভবনে নিয়ে থাকেন। টুঙ্গিপাড়ায় এলে এই দোকানের সন্দেশ ও রসগোল্লা বাসায় নিয়ে থাকেন।”
দোকানের অন্যতম মালিক সবুজ দত্ত আরো দাবী করেছিলেন— গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের’ সন্দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পাঠানো হয়েছিলো।
গোপালগঞ্জে এই দোকানটিই মূলত মিষ্টির প্রধান বিক্রেতা। ঐতিহ্যবাহী এ দোকানটি নিয়ে গোপালগঞ্জবাসীর রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণত উচ্চমূল্যের মিষ্টি সরবরাহ করে থাকে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করতেন বলে এই দোকানের মিষ্টির মান এবং দাম নিয়ে এতদিন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর থেকে ক্রেতা সাধারণ যেমন একটু নড়েচড়ে উঠেছে, একইসাথে দোকানের মালিকপক্ষও আগের সেই অহংকারী মনোভাব আর ধরে রাখতে পারছে না। ভোক্তাদের অভিযোগ— সুনামের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনায় নিতে সমর্থ হয়নি দত্ত মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের তৃতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ীরা।