আযানের উপর বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ

নিষিদ্ধ
নিষিদ্ধ
মুসলমান ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন ৫ বার নামাজের জন্য আহ্বান জানানোর জন্য আযান দেয়া হয়। যিনি আযান দেন তাকে মুয়াজ্জিন বলা হয়। সাধারণত আযান প্রচারিত হয় মসজিদগুলোতে থাকা সুউচ্চ মিনারের সঙ্গে যুক্ত মাইক বা লাউড স্পিকারের মাধ্যমে।

মুসলিমদের নামাজের জন্য আহ্বান বা আযানের শব্দের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করবার একটি ইসরায়েলি উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যের ওই এলাকাটিকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কিছু ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ থামানোর জন্য তারা জাতিসংঘের দ্বারস্থ হবেন বলে ভাবছেন।

নাবিল আবু রুদেইনার ভাষ্য, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বৈধ করার এবং আযানের শব্দ বন্ধ করে দেবার যে উদ্যোগ ইসরায়েল নিয়েছে, তা ওই এলাকায় ‘বিপর্যয় ডেকে আনবে’।

গত রবিবার ইসরায়েলি মন্ত্রীরা দুটি বিল উত্থাপন করেন, এর একটিতে পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদ করার একটি কর্মসূচী বন্ধ করবার কথা বলা হচ্ছে।

অপর বিলটি মূলত মুসলিমদের উপর প্রভাব ফেলবে।

এতে মসজিদ থেকে দৈনিক ৫ বার প্রচারিত উচ্চ শব্দের আযানের ধনির উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা রয়েছে।

ইসরায়েলের মোট জনগোষ্ঠীর ২০%-ই আরব এবং তাদের অধিকাংশই মুসলমান।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আযানের শব্দ সীমিতকরণের এই উদ্যোগ মূলত বহু ইসরায়েলি নাগরিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেয়া হয়েছে।

তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই উদ্যোগটি দেশটিতে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ সৃষ্টি করবে।

ফিলিস্তিনের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ইউসেফ ইদেইস বলেছেন, ইসরায়েল এটা করে ‘ধর্মযুদ্ধ’ বাধিয়ে দেবার হুমকি তৈয়ার করেছে।

সংবাদ : বিবিসি