কবি শ্রীজাত ও মন্দাক্রান্তার প্রতি প্রশ্ন তুললেন তসলিমা

যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে কবিতা লিখে বিপদে পড়েছিলেন কবি শ্রীজাত। তাঁকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষণের হুমকির মুখে কবি মন্দাক্রান্তা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েই তাঁদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন তসলিমা।

শ্রীজাত ও মন্দাক্রান্তাকে সমর্থন জানালেও নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের প্রশ্ন করলেন, যখন তাঁকে বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন কেন তাঁরা চুপ করেছিলেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, তিনি বরাবরই বাকস্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে এসেছেন। কিন্তু কেউ কেউ শুধু বাছাই করে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে পারেন না।

বুধবারই কবি মন্দাক্রান্তা সেনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি শ্রীজাতর একটি কবিতার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই কবিতাটি হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অনেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

তসলিমা বলেন, ‘আমি শ্রীজাত ও মন্দাক্রান্তার পাশে আছি। কারণ, আমি বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করি। কিন্তু ওঁরা কোথায় ছিলেন ২০০৭ সালে যখন আমাকে জোর করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দেওয়া হয়?’

তসলিমার দাবি, এখন মন্দাক্রান্তা ও শ্রীজাত প্রতিবাদ করছে কারণ, ওঁরা হিন্দু মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তসলিমার অভিযোগ, ‘মুসলিম বা খ্রিস্টান মৌলবাদীরা যখন আক্রমণ করেন তখন ওঁরা কিছু লেখেন না। মন্দাক্রান্তা ও শ্রীজাত যে পক্ষপাতিত্ব করে তা ওঁদের মনোভাব থেকেই স্পষ্ট।’

তিনি প্রশ্ন করেন, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরে শ্রীজাতর কলম কেন চলেনি। ধূলাগড়ের ঘটনার পরে কেন তিনি চুপ ছিলেন?

মন্দাক্রান্তার বিষয়ে তসলিমা বলেন, ‘এই ধরণের হুমকির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমি হাজার হাজার মেয়েদের জানি যাঁরা প্রতিদিন এই ধরণের হুমকি পান। আমিও পেয়েছি অনেকবার। তখন কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু মন্দাক্রান্তার ক্ষেত্রে লোকে এখন এটা নিয়ে কথা বলছে।’


সূত্র : এবেলা