জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কোন ধরনের দেশগুলোতে থাকে, কেনো প্রয়োজন হয়?

১. মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিপূর্ণ বা সংঘাতপূর্ণ দেশ

OHCHR এমন দেশে অফিস স্থাপন করে যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটে বা যেখানে সংঘাতের কারণে মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেমনঃ

• সিরিয়াঃ যেখানে সম্প্রতি সুইদা শহরে সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছেন ।

• প্যালেস্টাইনঃ যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করছে।

২. উন্নয়নশীল দেশ বা যেখানে মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান দুর্বল

OHCHR এমন দেশেও অফিস স্থাপন করে যেখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান দুর্বল এবং উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। যেমনঃ

• বাংলাদেশঃ যদিও বর্তমানে OHCHR-এর অফিস নেই, তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বাংলাদেশে একটি অফিস স্থাপনের সুপারিশ করেছেন।

৩. যেখানে সরকার OHCHR-এর উপস্থিতি অনুমোদন করে

OHCHR শুধুমাত্র সেই দেশে অফিস স্থাপন করে যেখানে সরকার তাদের উপস্থিতি অনুমোদন করে এবং একটি ম্যান্ডেট স্বাক্ষরিত হয়। এই ম্যান্ডেটের মাধ্যমে OHCHR দেশটিতে মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারে।

বর্তমান OHCHR অফিসের উদাহরণ

বর্তমানে OHCHR-এর অফিস রয়েছে নিম্নলিখিত দেশগুলোতেঃ

• বুরকিনা ফাসো

• কম্বোডিয়া

• চাদ

• কলম্বিয়া

• গুয়াতেমালা

• গিনি

• হন্ডুরাস

• লাইবেরিয়া

• মরিতানিয়া

• মেক্সিকো

• নাইজার

• প্যালেস্টাইন

• সিরিয়া (বেইরুটে অবস্থিত)

• সুদান

• তিউনিসিয়া

• ইয়েমেন

এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটি ফিল্ড-ভিত্তিক স্ট্রাকচার রয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, এবং ইউক্রেনে একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন (HRMMU) রয়েছে

সার্বিকভাবে, OHCHR তাদের অফিস স্থাপন করে সেই দেশগুলোতে যেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, এবং যেখানে সরকার তাদের উপস্থিতি অনুমোদন করে।