নিষেধাজ্ঞার আগেই নিরাপদে দেশ ছাড়েন হাছান মাহমুদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিষেধাজ্ঞার আগেই দুবাই-জার্মানি হয়ে বেলজিয়ামে গেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জার্মান শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে তথ্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হাসান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গ্রেপ্তার হন বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর কয়েকদিন পর জুনাইদ আহমেদ পলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে হদিস মেলেনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখেছেন হাছান মাহমুদ দেশ ছেড়েছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন সে বিষয়ে চলছে আলোচনা।

জানা গেছে, হাছান মাহমুদ এখন বেলজিয়ামের লিমবুর্গ প্রদেশের হ্যাসেল্ট সিটিতে তার নিজের বাড়িতেই আছেন। দুবাই হয়ে জার্মানিতে যান তিনি। জার্মান শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনিই ড. হাছান মাহমুদকে ডসেলড্রপ বিমানবন্দরে বেলজিয়ামের বাড়িতে পৌঁছে দেন।

বকুল জানান, গত ২৬ আগস্ট বিকেল পৌনে ৩টায় জার্মানির ডসেলড্রপ বিমানবন্দরে পৌঁছেন হাছান মাহমুদ। সেখান থেকে সড়কপথে বেলজিয়ামের নিজ বাড়িতে যান।

বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি এখানে আছেন এবং সেভ আছেন, এটুকু আর কি। এখানে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতেছেন না, কারো সঙ্গেই তার যোগাযোগ নেই। ’

এদিকে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২ সেপ্টেম্বর হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। দেশ ছাড়লেও সরকার পতনের পর হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্টগ্রামে অনেকগুলো হত্যা মামলা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—  সাবেক মন্ত্রী পলকের সাথে বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পরও তিনি কীভাবে পালাতে পারলেন? তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে— পারিবারিকভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় তিনি পালাতে সমর্থ হয়েছেন। বিদেশে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জানা যাচ্ছে।