প্রয়োজনে হিন্দুদেরও গো-মাংস খেতে বলেছেন মমতা

মমতা বন্দোপাধ্যায়

ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে— তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে গো-মাংস খাওয়া সম্পর্কে কথা বলছেন।

ভিডিওটিতে তাকে যা বলতে শোনা যাচ্ছে:

বেগুন কাটছো, তাতে অন্যায় হচ্ছে না। তুমি রোজ লাউ কাটছো, খাচ্ছো আরাম করে তাতে অন্যায় হচ্ছে না। তুমি রোজ মুরগী কেটে খাচ্ছো কোনো অন্যায় হচ্ছে না, হাঁস কেটে খাচ্ছো অন্যায় হচ্ছে না। ছাগল কেটে খাচ্ছো অন্যায় হচ্ছে না। দলিতরা খায় ভাই, গো-মাংস খায় ওরা। সিধুল কাস্টের ভাই-বোনেরা খায় আমার, খ্রিস্টানরা খায়, অনেক হিন্দুরাও খায়, আদীবাসীরা কায়, এটা ওদের সস্তার খাদ্য। আমরা বলি— আপরুচি খাওয়া, পররুচি পরা। তুমি কে এসব নিয়ে কথা বলার?

আমরা বড় হয়েছি “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলামান” —নজরুলের কবিতা পড়তে পড়তে। আমি কী করে এসমস্ত ভুলে যাব। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সর্বধর্ম সমন্বয়, স্বামী বিবেকানন্দের— নিজেকে দুর্বল ভাবলে দুর্বল হবে, শক্তিশালী ভাবলে শক্তিশালী হবে। সাহসী মানুষ দরকার এই পৃথিবীতে, যে সাহস নিয়ে কথা বলবে।

যত মত তত পথ —এর থেকে বড় কথা কী আছে? কয়েকটা লোক এসে যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। বাংলায় হিন্দুরা খুব দুঃখে আছে, কোথা থেকে দুঃখ এলো? কোনো মানুষ তো দুঃখে নেই।

কে কী খাবে আমার বলা কি দরকার? আমরা মাছ কাটি না? মাছ কাটলে রক্ত বের হয় কি বের হয় না? উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু বলে যাননি? আমরা যখন একটা লাউ কাটি, বেগুন কাটি? উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে, আলু কেন কাটা হয়? পটল কেন কাটা হবে? পেঁয়াজ কেন কাটা হবে? লাউ কেন কাটা হবে? ধানেরও তো জীবন আছে, ধানগাছ থেকে ধানটা তৈরি হয়, বড় হায়, তারপর আমরা চাল বানিয়ে খাই। সুতরাং কে কী খাবে, কে কী পরবে, কে কী করবে —এগুলো নিয়ে কথা বলা যাবে না।

https://www.facebook.com/nirmulcommittee/videos/195585261775061/?t=3