মালদ্বীপে নতুন প্রেসিডেন্টের নির্দেশে ‘ইসলাম বিরোধী’ মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে

মালদ্বীপে বিলাসবহুল হোটেলে মূর্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে।

ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অভিযান চালিয়ে আর্ট গ্যালারি থেকে বেশ কয়েকটি মনুষ্য মূর্তি ভেঙে ফেলেছে পুলিশ। প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের নির্দেশেই পুলিশ এই অভিযান চালায়। মূর্তিগুলোকে তিনি ইসলামবিরোধী ও পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী আখ্যা দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছিলেন।

হোটেলের নাম না নিয়েই রোববার আব্দুল্লাহ ইয়ামিন বলেন, পশ্চিমাদের সহায়তা নিয়ে মালদ্বীপে বিজাতীয় ও ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি চালু করতে চায় বিরোধী দল। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এভাবেই প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেন তিনি।

দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের ইসলামপন্থী ভোটারদের মন জয় করার জন্য এই কৌশল নিয়েছেন আব্দুল্লাহ ইয়ামিন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, কোনো পূর্বঘোষণা না দিয়েই শুক্রবার কংক্রিট কাটার ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে ‘ফেয়ারমাউন্ট মালদ্বীপ’ হোটেলটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় অনেক অতিথি ভেতরেই ছিলেন। পুলিশ আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে মানুষের অবয়বে তৈরি মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মূর্তি ভাঙার সময় পুলিশ সদস্যদের উল্লাস করতে দেখা যায়।

আর্ট গ্যালারিটি চালু করার সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে মূর্তিগুলো তারা অর্ধেক পানিতে নিমজ্জিত করে রেখেছিল।