মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিষয় নয়

ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যেমন ডান-বাম বিচার করে হিসাবে মেলানো যাবে না, ঠিক তেমনি মুসলিম-অমুসলিম ধর্ম দিয়েও না। ছবির এই মানুষটির নাম জর্জ হাবাশ। মার্কসবাদী-লেনিনবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী ফিলিস্তিনি সংগঠন “পিএফএলপি” (Popular Front for the Liberation of Palestine -PFLP)-র প্রতিষ্ঠাতা। গত শতকের সত্তরের দশকে যে-সংগঠনের গেরিলারা পশ্চিমা বিমান ছিনতাই করে গোটা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।

জর্জ হাবাশ, পেশায় চিকিৎসক, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এবং রাজনীতিক।

জর্জ হাবাশ জন্ম নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের একটি খ্রিস্টান পরিবারে (গ্রিক-অর্থোডক্স)। চিকিৎসা-শাস্ত্রে স্নাতক হাবাশ ফিলিস্তিনিদের কাছে “আল-হাকিম” নামেও পরিচিত। অসলো-শান্তিচুক্তির পরে ইয়াসির আরাফাতের “ফাতাহ”-র সঙ্গে হাবাশের “পিএফএলপি”র সম্পর্কে চিড় ধরলেও এই দুই নেতার কেউই পরস্পরের প্রতি কখনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি। অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করবার জন্যে “হামাস”, “ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদে”র মতো ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও হাবাশ মৈত্রী স্থাপন করেছিলেন। জর্জ হাবাশের মৃত্যুতে “ফাতাহ”, “হামাস”, “ইসলামিক জিহাদে”র নেতৃবৃন্দ তার স্মৃতির প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে একটুও দ্বিধা করেননি।

ধর্মীয় এবং মতাদর্শগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এই “মৈত্রী ও মনান্তর” ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের মূল সৌন্দর্য ও শক্তি। এটাকে আমরা কোনোভাবেই অস্বীকার কিংবা অবহেলা করতে পারি না।

নয় বছর আগেঃ


সৌভিক রেজা