ক্রোয়েশিয়া ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। সরকারি নাম প্রজাতন্ত্রী ক্রোয়েশিয়া, রাজধানী জাগ্রেব। দেশটি ১৯৯১ সালের ২৫ জুন সাবেক ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। আয়াতন ৫৬,৫৯৪ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা ৫০ লক্ষের মতো।
ক্রোয়েশিয়া ভূখণ্ডটি অনেক পুরনো, যদিও দেশ হিসেবে এটি অাত্মপ্রকাশ করে ১৯৯১ সালে। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং জনসংখ্যার হিসেবে দেশটির অবস্থান ১৩০ নম্বরে।
প্লিৎভিচ লেকটি ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ জঙ্গলাকীর্ণ। পার্ক, লেক এবং প্রাকৃতিক বনাঞ্চল মিলে দেশটি অসাধারণ।
ক্রোয়েশীয় জাতীয় ফুটবল দল
যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই আধুনিক ক্রোয়েশীয় ফুটবল দল ১৯৯১ সালে গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবারের মতো বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়ে তারা তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে ও ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় দলটি। প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় স্থান লাভ করে বিশ্ব ফুটবলে সাড়া জাগায়। দলের পক্ষে ডেভর সুকার শীর্ষ গোলদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ও বিশ্বকাপে সোনার বুট লাভ করেন। এরপর থেকেই ক্রোয়েশিয়া দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাসমূহে নিয়মিতভাবে অংশ নিলেও ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিতে পারেনি।
অনেকেই ধারণা করছে বিশ্বকে চমকে দিয়ে এবার ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ জিতে নিতে পারে। চলতি আসরে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে চলছে লুকা মদ্রিচের দল। আর মাত্র কিছুক্ষণ পরে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে দেশটি।
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট
দেশটির প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার-কিটারোভিচ। তিনিই দেশটির প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট এবং এর আগে তিনি ন্যাটোর মহাসচিব ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিলেন, ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে তিনি ক্রেয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
৫০ বছর বয়সে এসেও নিজের আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন ধরে রেখেছেন তিনি, অনেকে তাকে রূপবতী বলতে ছাড়েন না। তিনি দক্ষ হাতে যেমন দেশ পরিচালনা করছেন কোলিন্ডা গ্র্যাবার-কিটারোভিচ আবার ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি বেশ পরিপাটি। স্বামীর নাম জ্যাকব কিটারোভিচ, মূলত তাঁরা বন্ধু ছিলেন। দুজনে একসাথে পড়াশুনা করেছেন জাগরেভ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। তিনি ইনফরমালি এটি ব্যবহার করে থাকেন। এমিনকি তিনি এটি ভেরিফাইড করিয়েও নেননি। ফেসবুক, ইসটাগ্রাম, টাইটারে তিনি অনেক মজাও করে থাকেন। ইতোমধ্যে একজন ক্রিড়ামোদী প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
ক্রোয়েশীয় প্রেসিডেন্টের বিকিনি পরা ছবি নিয়ে শোরগোল কম হইনি অনলাইন দুনিয়ায়। তবে যে ছবিটি নিয়ে শোরগোল হয়েছে সেটি আসলে ক্রোয়েশীয় প্রেসিডেন্টের নয়। ক্রোয়েশীয় প্রেসিডেন্টও আকর্ষণীয় বটে তবে অতটা সাগর সংগমী নন বলেই জানা গেছে। হলেও অন্তত প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় অতটা প্রকাশ্য সম্ভবত তিনি নন। তবে মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্দিপনা সৃষ্টি করতে ভুলছেন। জয় পেলে গ্যালারিতে নেচে সরব হতেও দেখা গেছে তাকে।
ফাইনাল ম্যাচ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ”আমার আর অপেক্ষার তর সইছে না। অবশ্যই আমি ক্রোয়েশিয়ার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ”
https://youtu.be/55zXxT8pTc0