সরকারি সনদপত্র গ্রহণপূর্বক রেজিস্ট্রি অফিসে জনগনের পক্ষে যারা দলিল মুসাবিদা করেন অথবা লিখে দেন, তারাই দলিল লেখক। দলিল লেখা কোনো সরকারি চাকরি নয়, কিংবা দলিল লেখকগণ সরকারি চাকুরিজীবী নন। দলিল লেখার সাধারণ নিয়ম কানুন জানার পর সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সনদপত্র গ্রহণ করে জনগণের প্রয়োজনে এবং তাদের নিকট থেকে গৃহীত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দলিল লেখকগণ দলিল লেখাসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতাঃ
দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা ২০১৪-এর ৮নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সাধারণত বৎসরে প্রতি ৩০০ দলিলের জন্য একজন দলিল লেখক কাজ করতে পারেন। এই নিয়মের বাইরে কোনো বিশেষ কার্যালয়ের প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার সেই কার্যালয়ের দলিল লেখকদের সংখ্যা নির্ধারণ করেন। তবে একজন দলিল লেখক বৎসরে মোট কতটি দলিল লিখবেন তার কোনো সীমা নির্দিষ্ট নেই।
দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা ২০১৪-এর ২ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জেলার যে কোনো ব্যক্তি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে
১. সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের এলাকার আওতাভুক্ত;
২. যার বয়স ২১ বৎসরের কম নয়;
৩. যিনি স্বীকৃত কোনো বোর্ড হতে এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন;
৪. যিনি এলাকার প্রচলিত স্থানীয় ভাষায় দলিলের ভালো মুসাবিদা করতে পারেন;
৫. যার হাতের লেখা সুন্দর;
৬. ১৮৮২ সনের ভূমি হস্তান্তর আইন, ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৮৯৯ সনের ষ্ট্যাম্প আইন এবং ১৯০৮ সনের রেজিস্ট্রেশন আইন ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমুহ সম্বন্ধে যার ব্যবহারিক জ্ঞান আছে;
৭. এবং যাহার আচরণ ভাল;
৮. এবং যিনি সচ্চরিত্রের অধিকারী।
তিনি রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮-এর ৮০জি ধারা অনুযায়ী দলিল লেখার সনদের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে পারেন।
ফরমঃ