গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন।
দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি পিতা মাতার তৃতীয় সন্তান। তিনি বিবিসি বাংলা মনোনীত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি সগৌরবে সমাসীন বাঙলায় এবং বিশ্বসভায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাবন্দী হয়েছেন অনেক বার। তার পরেও তিনি আপোষ করেননি কখনও। কারণ, তিনি তো বাংলার বন্ধু। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রজ্ঞা এবং বজ্রকণ্ঠের শক্তি। ভাষণটি এখন ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য।
তিনি সারাজীবন দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাকে। আমি গর্বিত তাঁর আদর্শে একজন কর্মী হতে পেরে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের সেই ভয়াল কালোরাত! শেষ রাতের নিস্তব্ধতার নিরবতা ভঙ্গ করে মসজিদে মসজিদে ফজরের আজানের ধ্বনি হচ্ছে তখন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের চক্রান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহীনির বিপথগামী একটি অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নং রোডের ঐতিহাসিক বাড়িতে এক বিশ্ব কুখ্যাত হামলা চালায়।
ইতিহাসের এক জঘন্যতম কাণ্ডটি ঘটায় হায়েনারা। সেদিন বঙ্গবন্ধুর প্রবাসী দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ব্যতীত ঘাতকদের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক।
প্রায় একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামলা চালিয়ে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্তা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান।
বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতাকে হত্যা করে ঘাতকেরা বাংলার মাটি থেকে তাঁর নামনিশানা, আদর্শ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চক্রান্তকারী এবং ঘাতকদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বাংলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত জাতির পিতা আজ জীবন্ত, তাঁর প্রস্ফুটিত। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে তিনি বেঁচে আছেন, থাকবেন। তিনি সার্বজনীন। তিনি অমর। তিনি অজেয়। তিনি আমাদের জাতির জনক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। “যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা গৌরী বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”
শফিকুল ইসলাম আরমান
ছাত্রনেতা, সরকারি পিসি কলেজ ছাত্রলীগ, বাগেরহাট।