গ্রামাঞ্চলে সকলের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্যভাবে নিশ্চিত করা নিঃসন্দেহ খুব কঠিন, তবে অসম্ভভ নয়। এই কঠিন কাজটি করছেন, এবং ইতোমধ্যে অনেকদূর অগ্রসরও হয়েছেন শিবু বসু এবং তাঁর বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীরা।
“আমরা মনে করি চিকিৎসাসেবা সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছতে হবে, মানুষকে সচেতন করে, ক্রমাগতভাবে তাঁদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা সুষ্টি করে তাঁদেরকে চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ‘মানুষ বোঝে না’ বলার সুযোগ নেই, তাঁদেরকে বোঝাতে হবে।” বলছিলেন, উদ্যোক্তাদের কয়েকজন।
তাঁরা আরো বলেন, “পরিবর্তনশীল তবে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম এবং ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা আমাদের উদ্দেশ্য।”
এ লক্ষ্যে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায় একটি অংশগ্রহণমূলক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে, যেটি চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করার দায়িত্বটিও পালন করবে, চিকিৎসা সেবা নিয়ে মানুষের নানান ধরনের ভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করবে।
হাজেরা খুাতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি হবে একটি স্বনির্ভর নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নিয়মের মধ্য দিয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারবে। বিভিন্ন পর্যায়ে এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের খরচের একটি অংশ বহন করবে, আরেকটি অংশ আসবে রোগীদের দেয়া ফি থেকে।
একটি ট্রাস্টি বোর্ড এবং উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে হাসপাতালটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ট্রাস্টি বোর্ড এবং উপদেষ্টা পরিষদের অধীনের একটি প্রাজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ করে হাসপাতালটির কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন:
ফেসবুক গ্রুপ