খাদ্য অনিরাপদ হতে হতে এমন পর্যায়ে পৌঁচেছে যে সবচে’ উদাসীন ব্যক্তিটিও এখন নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হচ্ছে। যাচ্ছেতাই খাওয়াচ্ছে জনগণকে বিভিন্ন খাদ্য কোম্পানি এবং রেস্টুরেন্টগুলো। দেখভাল করার যেন কেউ নেই! সবাই থেকেও নেই। সরকারি কর্তৃপক্ষ কখনো কখনো যে অভিযান চালায় তাতে খাদ্য ব্যবসায়ীরা ভীত হলেও ভালো হয় না। তারা টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে ফেলে, তারা শিখে ফেলেছে যে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা যায়।
‘বিল্ড ফর নেশন’-এর স্বেচ্ছাসেবী দল গোপালগঞ্জের সব রেস্টুরেন্টগুলো ঘুরে রেস্টুরেন্ট মালিকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে যে, মোবাইল কোর্ট বা সরকারের অন্য কোনো কতৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত অভিযান জনগণের দৃষ্টিগোচরে আসে না। সবসময় তারা গণমাধ্যম সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে না। ফলে বিষয়টি জনগণের অগোচরে থেকে যায়। যেটি মোটেও ভালো কথা নয়।
মোবাইল কোর্ট এসে নিভৃতে ফা্ইন করে চলে যায়, তাতে রেস্টুরেন্ট মালিকদের ক্ষোভ বাড়ে, অপরাধ প্রবণতা আরো বাড়ে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় সরকারি কতৃপক্ষ রেস্টুরেন্ট মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে টাকা নেয়। জনসাধারণ মনে করে এটাই রেস্টুরেন্ট মালিকদের বেপরোয়া হওয়ার সবচে’ বড় লাইসেন্স। রাজনৈতিক চাঁদাবাজিও খাদ্য সেক্টরে বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মান উন্নয়ন না হওয়ার একটি কারণ, তবে সবচে বড় কারণ অবশ্যই মালিকদের দুর্নীতিপরায়ণ মনোভাব এবং অসচেতনতা।
আবার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ধারণা সবার সমান নয়, এটি নির্ভর করে যার যার জীবনমান অনুযায়ী। আমাদের দেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় যেহেতু ‘অশিক্ষিত’ শ্রেণি জড়িত তাই পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা তারা পরিমাপ করে অনেক সময় নিজেদের জীবনমান অনুযায়ী।
সকল বিষয় মাথায় রেখে ‘বিল্ড ফর নেশন’ সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে চায়। যেহেতু জেলাপ্রশাসন সাথে রয়েছে তাই খুব বেপরোয়া মনোভাবের কেউ এই ব্যবসায় থাকলে তাকেও বাধ্য করে সম্ভব বলে ‘বিল্ড ফর নেশন’-এর স্বেচ্ছাসেবী দল মনে করে। স্বেচ্ছাসেবী দলটি পরিচালিত হচ্ছে গবেষক-সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপের নেত্বত্বে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সাথে কথা বলা হলে তিনি ‘নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে’ সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন এবং স্বেচ্ছাসেবী দলটিকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
আন্দোলনের সাথে একাত্ম হতে এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে যোগাযোগ করুনঃ
‘বিল্ড ফর নেশন’
২৩৫ পোস্ট অফিস রোড, গোপালগঞ্জ।
০১৮৪৬৯৭৩২৩২