অসুস্থ করুণা রাণী দাসের (দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে) পাশে দাঁড়াতে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে জীবনের ৫৫টি বছর। ঘুণাক্ষরেও এতদিন টের পায়নি যে, শরীরে বাসা বেধেছে কোনো মারণ রোগ। যখন জানতে পারলেন ততদিনে তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এক মেয়ে এবং বেকার স্বামী নিয়ে সংসার তার। আছেন নির্ভরশীল শশুর-শাশুড়ি। শশুর-শাশুড়ি এবং স্বামীও বিভিন্নভাবে অসুস্থ। মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন অভাব অনাটনে কাটিয়ে কেবল সংসারে একটু স্বচ্ছলতা ফিরেছিল যখন থেকে সকল চাকরিজীবীদের বেতন বেড়ে দিগুণ হলো। সাহস করে চাকরি থেকে লোন নিয়ে ছোট্ট একটি বাড়ি করলেন, ঘরে কিছু জিনিসপত্রও কিনলেন, মেয়েকে উচ্চশিক্ষিক করবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন, ঠিক তখনই দুঃস্বপ্ন হয়ে এল এ খবরটি।
এতদিন চিকিৎসা করিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। শুধু ঐ ঘরখানিই আছে, আর চাকরিটা। প্রতি মাসের বেতনের টাকা দিয়ে চিকিৎসার খরচ কুলোয় না। সংসারের খাওয়াপরাও আর চলে না। এখন তো শয্যাশায়ী, চাকরিটাও আর করতে পারছেন না। কী করবেন এখন? ধারদেনা করে করে এখন চিকিৎসার খরচ চালাতে হচ্ছে। কুলোচ্ছে না কিছুতেই। করুণা রাণী দাসের স্বামী দিশেহারা হয়ে ছুটছেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যে, কিছু সরকারি সহযোগিতা মেলে কিনা। মেলে না, কিছু যা মেলে তাতে যাতায়াত খরচই হয় না। সর্বশেষ তিনি গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর কাছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, দরদী লোক তিনি। জানালেন, জেলা পরিষদ কতটুকু আর সাহায্য করতে পারবে, তাতে তো চিকিৎসার কিছুই হবে না। বিভিন্ন উপায় খুঁজতে বললেন। কিছু সহযোগিতা তিনি অবশ্য করেছেন। সারাদেশের কথা না হয় নাই ধরা গেল একটি জেলায়ই তো কয়েক হাজার চাকরিরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন। সবাই পাঁচশো টাকা করে না হোক, দুশো টাকা করেও যদি দেওয়া হয় তাতে কয়েক লাখ টাকা উঠে আসতে পারে। চিকিৎসার পুরো টাকা না হোক অনেকটা ভার লাঘব হতে পারে তাতে। বিষয়টি মাথায় আসার সাথে সাথে একটি দরখাস্তে সুপারিশ লিখে দিলেন জনাব কামরুজ্জামান টুকু।
দরখাস্তটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে, তিনি যদি বিষয়টি সকল উপজেলার কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরেন এবং এভাবে বার্তাটি বাগেরহাট জেলার সকল শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে একটি জেলাভিত্তিক ফান্ড গঠনের ব্যবস্থা করেন তাহলে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে করুণা রাণী দাসের চিকিৎসা। অসুস্থ করুণা রাণী দাস এবং তার স্বামী তাপস কুমার দাস আশা করছে জেলার সকল শিক্ষক তাদের পাশে দাঁড়াবে। এছাড়া স্বচ্ছল এবং সক্ষম বিবেকবান মানুষ যদি অসুস্থ এই শিক্ষিকার পাশে দাঁড়াতে চান তাহলে নিচের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীর ডায়ালাইসিস চলছে, একইসাথে তিনি করোনা পজেটিভ হয়েছেন, ফলে করোনার চিকিৎসাও দিতে হচ্ছে।
করুণা রাণী দাসকে সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা:
A/C Name: করুণা রাণী দাস
A/C NO: ৩৪০৬১৪৪৫
সোনালী ব্যাংক লিঃ, কচুয়া শাখা, বাগেরহাট।