বিশেষ শিশুদের জন্য পরিচালিত সংগঠন রেনু (REcNU)-এর আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত এবং বিশেষ শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। খুলনাস্থ সোনাডাঙা সোলার পার্কে উন্মুক্ত এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বার্জার বাংলাদেশ এবং গবেষণাধর্মী অনলাইন পত্রিকা ফলোআপ নিউজ-এর সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিশু অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিলো “যেমন খুশি তেমন আঁকো।” প্রতিযোগিতামূলক এ অনুষ্ঠানে শিশুরা ছিলো উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। অভিভাবকেরাও এ ধরনের আয়োজনে শিশুদের নিয়ে আসতে পেরে খুশি।
অনেকেই খুব সুন্দর ছবি এঁকেছে। শহরে বসবাস করলেও বেশিরভাগ শিশুর অঙ্কনে গ্রামবাংলার দৃশ্য প্রাধান্য পেয়েছে। প্রাধান্য পেয়েছে জাতীয় পতাকা এবং শহীদ মিনার। প্রকৃতপক্ষে বিষয় ছাপিয়ে তাদের শিশু মনের কল্পনাটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে সাদা ক্যানভাসে।
নিচের এই ছবিটি দেখে হঠাৎ সবাই ভাবছে শিশুটি তাল এঁকেছে, কিন্তু আসলে তা নয়। কী এঁকেছে ও?!
আয়োজকেরা বিস্মিত হয়েছে বিশেষ শিশু সিয়াম শেখের একাগ্রতা দেখে। সিয়াম রং নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসে। সিয়াম কথা বলতে পারে না। মনের সবটুকু ভাব ও তাই প্রকাশ করে সাদা ক্যানভাসে।
প্রতিযোগিতা শেষে শিশুদের রেনু-এর ভলান্টিয়ারেরা নিরাপদে পৌঁছে দেয়। সবাইকে বার্জার বাংলাদেশ এবং ফলোআপ নিউজ-এর সৌজন্যে দেওয়া হয়েছে সৌজন্য পুরস্কার, এবং সামান্য খাবার। ৩০ জুন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। থাকবে বিশেষ আলোচনাসভা এবং এ ধরনের শিশুদের জন্য করণীয় নির্ধারণ।
আয়োজন সম্পর্কে অভিভাবক লিমা বেগম বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এবং বিশেষ শিশুদের নিয়ে এ ধরনের আয়োজন আমি এই প্রথম দেখলাম। উন্মুক্ত আয়োজন হওয়ায় শিশুরা অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিলো বলে তিনি মনে করেন।
রেনু (REcNU)-এর ভলান্টিয়ার সানজিদা খান শ্রাবণী বলেন, খুলনার সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু নিয়ে আমরা এই মুহূর্তে কাজ করছে। সংখ্যাটি আমরা দিগুণ করতে চাই। REcNU বিশেষ শিশুদের বিশেষভাবে যত্ন নিয়ে থাকে। ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন সুমাইয়া আফরোজ শ্রাবণী, শম্পা আখতার এবং সাজিদের নেতৃত্বে একটি টিম।
ফলোআপ নিউজ-এর সম্পাদক এবং REcNU-এর চেয়ারম্যান দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেন, আমাদের সামার্থ খুব সীমিত, কিন্তু শিশুদের জন্য আমাদের ভালোবাসা অকৃত্রিম। এ জন্যই আমরা কাজ করতে পারছি। আমাদের সাথে থাকার জন্য বার্জার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাপোকরণ প্রদান, শিক্ষা বিস্তার এবং বিশেষ করে বিশেষ শিশুদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং চিকিৎসা বিষয়ে কাজ করে থাকি। এই মুহূর্তে খুলনা শহরে আমাদের তিনটি ওপেন স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। একটি অটিজম সেন্টার পরিচালনার জন্য আমরা জায়গা বরাদ্দ নিয়েছি। শীঘ্রই সেখানে কাজ শুরু হবে।
