হুমায়ুন আহমেদ এবং হুমায়ুন আজাদ দুজনই এদেশের জনগণের পালস্ বুঝতে পেরেছিলেন। তবে একজন জনগণকে লাইনে আনার চেষ্টা করেছেন, সত্যটা বলেছেন, আরেকজন জনগণকে ফলো করে জনপ্রিয় হয়েছেন।
ঠিক লিটল ম্যগাজিন এবং দৈনিক পত্রিকার মধ্যে যে পার্থক্য। দুজন মারা গেছেনও প্রায় একই বয়সে, একজন ধর্মান্ধদের আঘাতে, আরেকজন মারা গেছেন দূরারোগ্য ব্যধীতে। ফলাফল একই– মৃত্যু।
একথা সত্য, হুমায়ুন আহমেদ একটা জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন, সেটি পুরোপুরি সাহিত্যের না হোক কদর্যতার নয়, পরিশীলিত বিনোদনের অবশ্যই।
হুমায়ুন আহমেদকে অপছন্দ করতে চাওয়ার কিছু নেই। তিনি লেখক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন না, মানুষের প্রতিও বোধহয় না। তবে পৃথিবীতে অনেকেই তা ছিলেন না, তাই বলে তাকে ছোট করার কিছু নেই, আবার খুব বড় করার সুযোগও নেই।
একজন মানুষ, যিনি সমকালীন অনেক মানুষের জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করেছিলেন, নিশ্চয়ই ইতিহাস তাকে ভিন্নভাবে মনে রাখবে।
সাহিত্যিক /বিজ্ঞানী/দার্শনিক এরা জাতিয়তাবাদের উর্ধে, ধর্মের তো নয়ই। তাই “আমার বাংলাদেশের হুমায়ুন আহমেদ বিশ্বসেরা” -একথা বলা বাতুলতা এবং ফ্যানাটিসিজম ছাড়া কিছু নয়।
সত্যি কথা হচ্ছে, সাহিত্য বিচারে অপেশাদার লেখক, এমনকি লিখতে চাননিও কিছু -এমন একজন লেখক মেরি শেলির (পার্সি বিশি শেলির ওয়াইফ) ফ্রাঙ্কেসস্টাইন মানের একটা কাজও কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের নেই।
ক্লাসিক না থাক, সব মিলিয়ে তার চেয়ে অনেক কম এবং একই মানের লিখেও শুধু ভাষার কারণে অনেকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত আছে, তাই হুমায়ূন আহমেদকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া অবশ্যই ভালো কাজ।
জন্মদিনে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ‘র কে শ্রদ্ধা জানাই ফলোআপনিউজ.কম-এর পক্ষ থেকে।