গ্রামের নাম মসনী: ছবি ব্লগ

গ্রামের নাম মসনী, এখানে দুই বছর আগেও বিদ্যুৎ ছিল না। পাকা রাস্তা হয়েছে তাও কয়েক বছর হল মাত্র। তবে কাঠামোগতভাবে উন্নত হলেও গ্রামটির প্রাণ আগের মত আর থাকছে না। এই ছবিটি এই মুহূর্তে পাঠানো মূল কারণ, যে দোকানটি দেখা যাচ্ছে ছবিতে, ঐ দোকানের মালিক (সুখদেব দাস) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তবে ধরা পড়ার আগেই তার পায়ের তলায় পছন ধরতে শুরু করে। এলাকার ডাক্তার দেখিয়ে কূল না পেয়ে কিছুদিন আগে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হলে তার পা কেটে ফেলা দেওয়া হয়। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, গ্রামের তেমন কোনো মানুষ তার পাশে দাঁড়াতে পারেনি। অবশেষে ঢাকা মেডিকেলে উনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

দ্বিতীয় ছবিটিও ঐ দোকান থেকেই তোলা। ছবির বামের লোকটি সদ্য প্রয়াত সুখদেব দাসের পিতা। ডানে যাকে দেখা যাচ্ছে ওনার ছেলে মারা গিয়েছেন চার বছর আগে। সেটিও ছিল অবহেলাজনিত মৃত্যু। ছবির বামে আনন্দ দাস, ডানে সুধীর দাস।

 

ছবিটি একই দোকানের সামনে থেকে তিন বছর আগে বর্ষাকালে তোলা।

 

দক্ষিণ পাড়া থেকে এক কিলোমিটার গেলেই তিন গ্রামের সংযোগস্থলে একটি যুথসই বাজার রয়েছে। সেখানকার একটি দোকানের ছবি। লক্ষণীয়, অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস না পাওয়া গেলেও গ্রামের এইসব দোকানে পৌঁছে গেছে নানান ধরনের পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্ক।

 

গ্রামের চিরচেনা এ দৃশ্যগুলোও ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।

 

গাছটি কাটা হবে, তাই প্রথমে দড়িবাঁধা হচ্ছে যাতে নির্দিষ্ট দিকে গাছ টেনে ফেলা যায়।

 

এক টুকরো কাঠ গোল করে কেটে তা দিয়ে চাকা বানিয়ে এভাবে বাঁশের ফালি দিয়ে অনেকেই হয়ত ছোট বেলায় চালিয়েছেন। তবে সে প্রজন্মও হয়ত বেশিদিন আর থাকবে না। এখন এমন রেওয়াজ কি আর দেখা যায়?

 

এ দুজন রমণী অবশ্য গ্রাম্য নয়, তারা শহর থেকে গ্রামে গিয়েছেন ঘুরে দেখতে।

মসনী, দক্ষিণ-পশ্চিমের বাগেরহাট জেলা, কচুয়া উপজেলার একটি গ্রাম।


আপনার গ্রাম নিয়ে এরকম একটি ছবি ব্লগ তৈরি করতে পারেন আপনিও, রয়েছে পুরস্কার

সর্বোচ্চ ৫০টি ছবি থাকতে পারে সেখানে। প্রতিটি ছবিতে একটু বর্ণনা থাকা দরকার। সেরা ব্লগটি (৩টি) বছর শেষে পুরস্কার পাবে। সেরা নির্ধারিত হবে তিনটি মানদণ্ডে। যেমন,

১। ৩৬৫ পয়েন্ট এক্ষেত্রে। বছরের প্রথম দিন যে পাঠিয়েছে সে ৩৬৫ পয়েন্টই পাবে, যে বছরের শেষ দিন পাঠাবে সে এখানে এক পয়েন্টও পাবে না। অর্থাৎ আগে পাঠানোটাও গুরুত্বপূর্ণ।
২। বিচারক প্যানেলের বিচার হবে ১০০০ পয়েন্টের ওপর।
৩। ফেসবুক শেয়ারে ১০০০ পয়েন্ট।
এই মোট ২৩৬৫ পয়েন্টের ওপর জয় পরাজয় নিশ্চিত হবে।

পুরস্কার হিসেবে থাকবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ৭ দিনের একটি বিশেষ ট্যুর।

বিচাররক প্যানেল ১০০০ পয়েন্টে বিচার করবে মোট দশটি বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে। ছবির কারিগরি দিক খুব বেশি বিবেচিত না হলেও, ছবিটি স্পষ্ট হতে হবে। ছবির একটা মিনিমাম রেজুলুশন (ঘনত্ব) থাকতে হবে, যাতে একটু বড় করলেই ছবিটি ফেটে না যায়।
মূল বিবেচনার বিষয়, ছবির বিষয়বস্তু। ছবিটির কোনো বিশেষ মানে থাকতে হবে এমন নয়, তবে হযবরল কিছু ছবি পাঠালেও হবে না। এটা ঠিক যে, আপনার পাঠানো সবগুলো ছবি হয়ত বিষয়বস্তুর দিক থেকে খুব প্রসাঙ্গিক নাও হতে পারে, তবে উদ্দেশ্যটা আপনাকে বুঝতে হবে।
যথাসম্ভব আপনার গ্রামটিকে আপনার ‍তুলে ধরতে পারতে হবে ছবিতে। হতে পারে আপনি আপনার গ্রামের যেকোনো একটি দিকের প্রতি আলোকপাত করেছেন, অথবা সামগ্রিকভাবেও আপনি ছবি তুলে পাঠাতে পারেন।
বিচারের দশটি মানদণ্ডের মধ্যে আরেকটি ‍উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ছবিটি অবশ্যই এমন হতে হবে— যেটি দ্বারা আপনার গ্রামকে চেনা যায়, অর্থাৎ ছবিটি দেখে ঐ গ্রামের একজন মানুষ বলতে পারবে যে, এটি এই গ্রামেরই ছবি।
সব ছবি মানুষের হতে হবে, অবশ্যই এমনটি না। প্রাকৃতিক দৃশ্য, অবকাঠামো এবং পশুপাখিও আপনার ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে।
সাথে আপনি গ্রামটির ওপর একটি সর্বোচ্চ ৫মিনিটের ভিডিও পাঠাতে পারেন। এটি অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচিত হলেও গুরুত্বহীন নয়।

শেয়ারে যে ১০০০ নম্বর, সেটির হিসেব খুব সহজ। প্রতিটি শেয়ারের মান এক। আমরা ধরে নিচ্ছি ১০০০ বার সর্বোচ্চ কোনো ছবি-সেট শেয়ার হতে পারে। তার চেয়ে বেশি কারো ছবি শেয়ার হলে তার জন্য বিশেষ পুরস্কার থাকবে। তবে নম্বর বিবেচনায় ঐ ১০০০ই থাকবে।

ছবি পাঠানোর ঠিকানা:
[email protected], ০১৮৪ ৬৯ ৭৩২৩২

বিদ্র: ০১, ০২ ,০৩ —এভাবে ছবিগুলোতে নম্বর দিতে হবে। ছবির সাথে নম্বর মিল রেখে ক্যাপশন লিখতে হবে। ছবির পাশাপাশি একটি ডকুমেন্ট ফাইলে ক্যাপশন লিখে পাঠাতে হবে। অবশ্যই ছবির ক্রম অনুযায়ী ক্যাপশন লিখতে হবে, যাতে কোন ছবির কোন ক্যাপশন তা বোঝা যায়।

প্রতিযোগিতা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে যেকোনো মতামত সানন্দে গ্রহণ করা হবে।