নিজস্ব প্রতিবেদক
মূলত সম্প্রসারিত নগরায়ন গ্রামটিকে প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে। যতটুকু বাকী আছে তাও অনুন্নয়ন এবং অপোন্নয়নে মুখ থুবড়ে পড়ে অাছে। গ্রামটির সাথে ঢাকা বনশ্রীর দূরত্ব মাত্র দশ মিনিটের পথ, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছু নেই বললেই চলে।
গ্রামের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব দুর্বল। এরকম বাঁশের ব্রিজ দিয়ে লোকজন চলাচল করে। ত্রিমোহিনী গ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছে ত্রিমোহিনী-নন্দীপাড়া খাল, যেটি বনশ্রীর মধ্য দিয়ে গিয়ে মিশেছে হাতির ঝিলের সাথে। এই খালটি পরিচ্ছন্ন এবং দখলমুক্ত রাখতে পারলে নান্দনীক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারত।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সম্প্রসারিত নগরায়ন, বিশেষ করে অাফতাব নগর তথা জহিরুল ইসলাম সিটির কারণে গ্রামটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। দূষিত খালের কারণে পুরো এলাকাটি দূষিত হচ্ছে। ভয়ংঙ্কর নোংড়া পানি দিয়ে চাষাবাদ হচ্ছে—সে সকল শাকসবজি এনে বিক্রী হচ্ছে বনশ্রীতে, ফলে গ্রামবাসীর উপর নগরায়নের যে অত্যাচার চলছে তার কুফল পড়ছে শহরবাসীর উপরও।
গ্রামবাসীর বক্তব্য, এভাবে জবরদখল করে শহর সম্প্রসারিত না করে সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রামটিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধাগুলো দিলে শহর ঘেষেই হতে পারত চমৎকার শহুরে গ্রাম, হতে পারত শহরবাসীর জন্য সবুজেঘেরা গ্রামে নিঃশ্বাস ফেলার একটি জায়গা। নির্মীয়মান আফতাব নগরের কারণে সে সুযোগটি খানিকটা নষ্ট হলেও এখনও অনেক কিছু করার আছে। সরোজমিনে গিয়ে ফলোআপনিউজের এই প্রতিবেদকের মনে হয়েছে সরকার চাইলে একটি মডেল শহুরে গ্রাম এবং একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে একেবারে রাজধানীর মধ্যে। হাতির ঝিলের সাথে ত্রিমোহিনী খালটিকে সংযোগ করে দিলে গড়ে উঠতে পারে অসাধারণ নৌপথও।