Headlines

ছবি ব্লগঃ সিএমসি হাসপাতাল ভেলোর

সিএমসি হাসপাতাল
সিএমসি হাসপাতাল
খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সিএমসি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেলোর জেলায় অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গবেষণাকেন্দ্র। হাসপাতালটিতে খুবই উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ থেকে গিয়ে প্রতিবছর কয়েক লক্ষ লোক এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেয়। Christian Medical College Hospital or CMC is a medical college hospital and research center located in Vellore district of the Indian state of Tamil Nadu. The hospital provides very high quality medical care. Hundreds of thousands of people from Bangladesh get treatment in this hospital every year.
খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ
১১৮ বছরের পুরোনো এই সিএমসি হাসপাতাল। হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ ইদা সোফিয়া স্কুডার। ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল শুরুর ভাবনাটি আরো আগের। ১৮৯০ সালে ইদা সোফিয়া স্কুডার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ ভারতে তার ধর্মপ্রচারক মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান। এক রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তিন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সন্তান জন্মদানে সহায়তা করতে বলা হয় ইদাকে। ইদার কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। তিনি বাবার সহায়তা চান। বাবা চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু ওই তিন নারীর পরিবারের কেউই পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে রাজি হননি। পরদিন সকালে ওই তিন নারীই মারা যান। ইদা মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পান। সামাজিক বাধার কারণে তিন মায়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তিনি। চিকিৎসক হবেন বলে শপথ নেন। নারী ও শিশুদের সেবা করবেন বলে ব্রত নেন। ইদা এরপর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। ১৮৯৯ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের সেটিই ছিল প্রথম ব্যাচ। ১৯০০ সালে আবার ভারতে ফিরে যান ইদা। বাবার বাড়িতে একটিমাত্র বেড নিয়ে চালু করেন হাসপাতাল। এখন সিএমসিতে অভ্যন্তরীণ রোগী দুই হাজারেরও বেশি। দৈনিক বহির্বিভাগীয় রোগী সাত হাজার। হাসপাতালে ওয়ার্ড ৬৭টি। বিভিন্ন রোগের বিভাগ ১৪৪টি।
ইমিগ্রেশন অফিস
মেইন ক্যাম্পাসের ইমিগ্রেশন অফিশ। আপনার চিকিৎসার যাত্রাটি শুরু হয় এই অফিশ থেকে।
এমার্জেন্সি
সিএমসি’র রয়েছে এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কোনো এপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই এখানে গিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া যায়। তবে সবার আগে দরকার সিএমসি কার্ড। আপনি এসেই আগে সিএমসি কার্ডটা করবেন। এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে এত ভাবনার কিছু নেই।
হুইল চেয়ার
হুইল চেয়ার এবং স্ট্রেচারের কোনো সংকট নেই সিএমসিতে। সার দেওয়া হইল চেয়ার এবং স্ট্রেচার রয়েছে। প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে একশো টাকা জমা দিয়ে নিতে হবে। হুইল চেয়ার বা স্ট্রেচার ফেরৎ দিয়ে একশো টাকা ফেরৎ নিতে হবে।
সিএমসি হাসপাতাল
সিএমসি হাসপাতালে রানিপেত ক্যাম্পাসের একাংশ।
হুইল চেয়ার
সিএমসি হাসপাতালে হুইল চেয়ারের কোনো সংকট নেই। এবং হুইল চেয়ারগুলো খুবই ভালো মানের।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী
সিএমসি হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে যথেষ্ট লোকবল রয়েছে। এবং তারা খুবই তৎতপর, দক্ষ এবং আন্তরিক।
সিএমসি হাসপাতালের রানিপেত ক্যাম্পাসের কার্ডিওলজি বিভাগে অপেক্ষামান রোগীরা।
নেপাল ভুটান
সিএমসি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ এবং ভারতের রোগী। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। সিএমসি হাসপাতালের রানিপেত ক্যাম্পাসের লিফটে এক ভুটানিজ মা এবং তার সন্তানকে দেখা যাচ্ছে।
সিএমসি
প্রতিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সম্পক বিভাগ। এটি রানিপেত ক্যাম্পাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
সিএমসি হাসপাতাল
এ অঞ্চলটি পাহাড়ঘেরা। সিএমসি হাসপাতালের চারপাশেও রয়েছে পাহাড়।
সিএমসি
রানিপেত ক্যাম্পাসে অবস্থিত হেপাটোলজি বিভাগ। কার্ডিওলাজি এবং হেপাটোলজিতেই প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে।
নেফ্রোলজি বিভাগ
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট থেকে শুরু করে কিডনি এবং মুত্রনালীর সকল চিকিৎসা করা হয় এই বিভাগে।
শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে আগত একজন রোগী। A patient from Bangladesh is receiving treatment in the Child Health Department.
সিএমসি
সিএমসি-এর রয়েছে প্রাইভেট এবং জেনারেল সেবা। জেনারেল সেবার চর্মরোগ বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে আগত একজন রোগী। উল্লেখ্য, জেনারেল সেবায় সাধারণত জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেবা দিয়ে থাকেন। CMC has private and general services. A patient from Bangladesh is receiving treatment from the Dermatology Department of General Services. It should be noted that general services are usually provided by junior doctors.
অর্থপেডিক বিভাগ
অর্থপেডিক বিভাগে বসে আছেন দু’জন চিকিৎসা প্রত্যাশী। Two patients are waiting for treatment in the orthopedic department.
সিএমসি
রোগীকে প্রথমেই যেতে হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের এমআরও-তে। সেখান থেকে ডাক্তারের রুম নম্বর এবং সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়।
ইটিটি
বাচ্চার ইটিটি করার জন্য অপেক্ষা করছেন একজন নারী।
সিএমসি
সিএমসি মেইন ক্যাম্পাসের এ চায়ের দোকানটির দুধ-চা অসাধারণ।
সিএমসি
সিএমসি সংলগ্ন হোটেল এলাকার নাম সাইদাপেট। বাংলাদেশ থেকে আগত চিকিৎসা প্রত্যাশীরা এ এলাকাটিতে থাকে সাধারণত। ছবিতে এক বাংলাদেশী নারী, যিনি এসেছেন ঢাকা থেকে, দেখা যাচ্ছে ফল কিনতে।
নবাব ই চান্দা
সাইদাপেটে অবস্থিত নবাব-ই-চান্দা মসজিদটি এই এলাকায় মুসলিম বসবাসের পরিচয় তুলে ধরে। 
সাইদাপেট
চায়ের দোকানগুলোতে গরুর খাটি দুধ দিয়ে চা বানানো হয়। কনডেন্সড্ মিল্কের কোনো চল এখানে নেই। চায়ের দোকান গুলোতে পিতলের পাত্র ব্যবহার করার ঐতিহ্য রয়েছে এখনো।
সবিতা হোটেল ভেলোর
খাবার এ হোটেলটি এমন আহামরি কিছু নয়, তবে এ হোটেলটিতে ভিড় লেগে থাকে সবসময়, হয়ত করিৎকর্মা এ নারীর জন্য।