’পরকীয়া’ সম্পর্কে যা বললেন এ দুইজন নারী …

মুক্তা আক্তার

মিসেস জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বঙ্গবন্ধূ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। লেখালেখি করেন। অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

পরকীয়া যুগে যুগে সামাজিক জীবনের সম্পর্কের একটি অন্যতম দিক, কিন্তু কোনোকালেই এটি স্বীকৃত নয়। পরকীয়া মূলত আত্মস্বীকৃত প্রেম। অনেক দেশের মানুষ অবশ্য সম্পর্ক ওপেন ঘোষণা করে পরকীয়ার জায়গাটি সুগম রাখে। বিষয়টি এরকম যে আমি তোমার সাথে প্রেম করছি এর মানে এই নয় যে আমি আর কারো সাথে সম্পর্কে জড়াবো না।

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলছেন, না গোপন রেখে কোনো সম্পর্ক পরিচালিত হওয়া উচিৎ না। যে সম্পর্ক ঘোষণা দেওয়া যায় না সেটি অবৈধ সম্পর্ক -মুক্তার কথার মূলভাবটি এরকম।


মুক্তা আক্তার একজন এনজিও কর্মী, কাজ করেন নারী অধিকার নিয়ে। মুক্তা বলছেন, সম্পর্কের দায়িত্বশীলতার কথা।

অর্থাৎ সম্পর্কটি যেভাবেই হোক না কেন সেখানে পরস্পরের প্রতি দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। তিনি বলছেন, সম্পর্ক হয় প্রয়োজন থেকে, ফলে এটি ব্যক্তি ঠিক করবে যে সম্পর্ক সে কীভাবে পরিচালনা করবে। এখন হতে পারে কেউ একজন একটি সম্পর্কে মধ্যে আছে, যেটির কাগজপত্র আছে, এটি হচ্ছে সমাজের দৃষ্টিতে ‘বৈধ’ সম্পর্ক। অারেকটি সম্পর্ক, যেটির ওরকম কোনো কাগজপত্র নেই সেটি হচ্ছে সমাজের দৃষ্টিতে ‘অবৈধৎ সম্পর্ক। কথা হচ্ছে, সম্পর্কের মধ্যে প্রেম থাকতে হবে। প্রেমের বাইরে কোনো সম্পর্ক পরিচালিত হওয়া উচিৎ না।