যৌন মিলন শুধু উন্মত্ততা নয়, ভোগ উপভোগের বিষয়ও নয়, যৌন মিলনের শারীরিক এবং মানসিক অনেক উপকার রয়েছে। পরিপূর্ণ শারীরিক মিলনের পর ঘুম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে, শ্বাঃস-প্রশ্বাসের উপকার হয়। শারীরিক সম্পর্কের দরুণ হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যেসব পুরুষ সপ্তাহে অন্তত দুবার শারীরিক সম্পর্কে যুক্ত হতে পারে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কম বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের দরুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরে প্রচুর পরিমাণ এন্টিবডি তৈরি হয়, ফলে শরীর রোগমুক্ত থাকে। শরীর ঠাণ্ডাজনিত রোগে কম আক্রান্ত হয়।
যারা নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে থাকে তাদের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বেশি, কারণ, তাদের চাপ লাঘব হয় দ্রুত।
শুধু মানসিক নয়, যৌন মিলন শারীরিক ব্যথাওকমায়, তাই ব্যথা ভুলে যেতে চাইলে চমৎকার যৌন সম্পর্কে মিলিত হতে হবে। এ সময় শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরিত হয় পাঁচগুণ, ফলে ব্যথা উপশম হয় দ্রুত।
নিয়মিত সুখী স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক মানুষকে দীর্ঘায়ু করে। অর্গাজমের সময় ডিহাইড্রোপিয়ান্ডেস্থেরন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং টিস্যু মেরামত করে।
যৌন উত্তেজনার সময় হার্ট রেট বেড়ে যায়, ফলে নতুন রক্ত অঙ্গপ্রতঙ্গে বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরোন রক্ত অতি দ্রুত হার্টে এসে বিশুদ্ধ হয়, এভাবে শরীর বিষমুক্ত হয়।
শারীরিক সম্পর্কের পর চমৎকার একটা ঘুম হয়, আর সুন্দর ঘুমই হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের মূল।
শারীরিক সম্পর্কের সময় ব্যয়াম হয় চমৎকার, পাশাপাশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। একবার যৌন মিলনে অন্তত একশো ক্যালরি ক্ষয় হয়।
শরীর গঠনে, টিস্যু গঠনে টেস্টেস্টোরন এবং এবং ওস্টোজেনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যৌন মিলেনে পুরুষের শরীরে টেস্টেস্টোরনের উৎপাদন বাড়ের, একইভাবে নারীদের শরীরে ওস্টেজন বাড়ে।