মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার কীভাবে চিনবেন?

follow-upnews
0 0

মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার

দিনে দিনে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। সিলিন্ডার গ্যাস পেঁৗছে গেছে গ্রামগঞ্জেও। এমনকি গ্যাস সংযোগ আছে এমন এলাকাতেও হোটেল রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিপণন কেন্দ্র।

বিভিন্ন মুদির দোকানেও এখন গ্যাস পাওয়া যায়। তবে চাহিদার সাথে সাথে নিরাপত্তার দিকটি থেকে গেছে অগোচরে। ফলে বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরক জনিত ঝুঁকি। প্রতি বছরই প্রাণ যাচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে। 

গ্যাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ নিম্নমানের এবং মেয়াদউত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করা। নিম্নমানের সিলিন্ডার যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে, এছাড়া প্রত্যেকটি সিলিন্ডারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। এই মেয়াদসীমা শেষ হয়ে গেলে সিলিন্ডার তার চাপ ক্ষমতা হারায়।


গ্যাসকে উচ্চ চাপে তরলীকরণ করে সিলিন্ডারে প্রবেশ করানো হয়। এজন্য কোনো মেয়াদউত্তীর্ণ সিলিন্ডারে যদি উচ্চ চাপে গ্যাস ঢুকানো হয় তবে সে সিলিন্ডার গ্যাসের চাপ রক্ষা করতে না পেরে বিষ্ফোরিত হয়ে যায়।

মেয়াদউত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার ঘরে রাখা আর বোমা রাখার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই আসলে।

কীভাবে চিনবেন মেয়াদউত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার?

সাধারণ চোখে সিলিন্ডারের গায়ে লেখা দেখে বোঝা কঠিন এর মেয়াদ। কারণ, শর্টকাট করতে এখানে কিছু সাংকেতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়—যেটা দেখে একটু মাথা খাটিয়ে বুঝতে হয়।

নিচের ছবিটি খেয়াল করুন: এরকম লেখা নিশ্চয়ই দেখেছেন সিলিন্ডারের গায়ে। 

ডেট মার্ক

ছবিতে মার্ক করা কালো রং-এর লেখাটাই হলো এক্সপায়ার ডেট। এখানে A, B, C, D সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়েছে মাস। 

A = বছরের প্রথম তিন মাস– জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ।

B = পরের তিন মাস– এপ্রিল, মে, জুন।

একইভাবে C, D দ্বারা ক্রমাণুসারে বাকি ছয় মাস বোঝানো হয়।

শেষে বছরের শেষ দুই ডিজিট থাকে, অর্থাৎ C-13 (2013) যদি C-18 থাকে তার অর্থ হলো  2018 সালের জুলাই, আগস্ট, অথবা সেপ্টেম্বর মাসে সিলিন্ডারটির মেয়াদ শেষ হবে। 

অর্থ্যাৎ–
A = মার্চ এ মেয়াদ শেষ হবে।
B = জুন এ মেয়াদ শেষ হবে।
C = সেপ্টেম্বর এ মেয়াদ শেষ হবে।
D = ডিসেম্বর এ মেয়াদ শেষ হবে।


বিস্ফোরক পরিদপ্তর

Next Post

ব্রকলি খেলে যে উপকারগুলো পাবেন ।। ব্রকলি এক শক্তিশালী ক্যান্সার প্রতিরোধক

 কলি দেখতে একদম ফুলকপির মতো। বলা যেতে পারে যে এটা সবুজ ফুলকপি। এটি এখন বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত। প্রায় সব জেলাতেই বর্তমানে ব্রকলির চাষ হচ্ছে। চাইনিজ জাতীয় খাবারে সাধরণত বেশি ব্যবহৃত হয় সবজিটি। সালাদে বা রান্না করে দুভাবেই ব্রকলি খাওয়া যায়। তবে সাধারণত রান্না করেই খাওয়া হয়।  ব্রকলিতে রয়েছে শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট। […]
broccoli