যে বদ অভ্যেসগুলো দ্রুত পরিত্যাগ করা উচিৎ

কিছু না কিছু বদ অভ্যেসে সকলের থাকে, তবে এর রকমফের আছে। কারো কারো বদ অভ্যেস বেশি থাকে, কারো কারো কম থাকে। কোনো অভ্যেস বেশি ক্ষতিকর, কোনোটি আবার অতটা ক্ষতিকর নয়। নানান রকমের খারাপ অভ্যেসের মধ্য থেকে নিচের একশোটি বেছে নেওয়া হয়েছে, যা প্রায় সকল মানুষের মধ্যে কমন, কারো মধ্যে হয়ত ১০টা আছে, কারো মধ্যে হয়ত ২০টা আছে। দেখে নিন আপনাদের মধ্যে কয়টা আছে—

মাদক

১. ধুমপান;

৩. মদ্যপান;

৪. মাদক সেবন;

৪. রাত জাগা;

৫. মিথ্যা কথা বলা;

৬. ব্যায়াম না করা;

৭. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া;

৮. অবিবেচনাপ্রসূত এবং অনিরাপদ সঙ্গম;

৯. অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা;

১০. ভিডিও গেমস্ খেলা;

১১. অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো;

১২. দেরি করা, সময়মত কাজ না করা;

১৩. কথা না রাখা;

১৪. যেখানে সেখানে নাক ঝাড়া এবং থুতু ফেলা;

১৫. টাকা না জমানো; 

১৬. বিনিয়োগ করতে দেরি করে ফেলা;

১৭. দেখা মাত্র ভালো লাগলেই কিছু কিনে ফেলা;

১৮. হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া;

১৯. বাজেট করে না চলা;

২০. ঋণ পরিশোধ না করা; 

২১. তালিকা করে কেনাকাটা না করা;

২২. লাইট ফ্যান ইত্যাদি বন্ধ না করা;

২৩. উচ্চস্বরে কথা বলা;

২৪. রোজ গোসল না করা;

২৫. কম্পিউটার বন্ধ না করা; 

২৬. জিনিস জায়গা মতো না রাখা;

২৭. রুম এবং জিনিসপত্র পরিষ্কার না করা;

২৮. ফ্রিজে দীর্ঘদিন খাবার রেখে দেওয়া;

২৯. সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকা;

৩০. অতিরিক্ত জাংক (ভাজাপোড়া খাবার) ফুড খাওয়া

৩১. অতিরিক্ত ভাব নিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়ানো;

৩২. সকালে নাস্তা না করা;

৩৩. যখন তখন নিজে ওষুধ কিনে খাওয়া;

৩৪. অধিক পরিমাণ মাথা ঘোরার এবং ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া;

৩৫. লোকের সামনে শরীরের বিভিন্ন অংশ খুটতে থাকা; 

৩৬. একাকীত্ব দূর করার চেষ্টা না করা বা একাকীত্ব বোধকে পাত্তা না দেওয়া;

৩৭. হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে পথ চলা;

৩৮. অতিরিক্ত জিনিস পরিবহন করা;

৩৯. নেতিবাচক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা;

৪০. স্ত্রী বা স্বামীর অথবা প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা না করা

৪১. পর্নো দেখা;

৪২. জীবনের সবকিছু ছবি/ভিডিওতে ধরে রাখতে চাওয়া;

৪৩. অনলাইনে সবকিছু পড়তে এবং বুঝতে চাওয়া;

৪৪. সেলিব্রেটিদের প্রতি মনোযোগী হওয়া;

৪৫. সমাজ জীবন পরিহার করা; 

৪৬. সবসময় সব কিছুতে সংশয়ে থাকা;

৪৭. বোঝার আগেই না বলা;

৪৮. সবকিছুতে একটা অজুহাত দাঁড় করানো;

৪৯. মানুষকে পাত্তা না দেওয়া;

৫০. বেশিরভাগ সময় স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকাএমনকি মানুষের সাথে কথা বলার সময়ও

৫১. টাকা পেলেই তা ব্যাংক একাউন্টে রাখা;

৫২. সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অধিক ব্যয় করা;

৫৩. অন্যের ভাবনা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো;

৫৪. নিজের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দিহান থাকা;

৫৫. বেশি সোডা ড্রিংক পান করা

৫৬. বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করা;

৫৭. দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা;

৫৮. দিনে ঘুমানো;

৫৯. শাক-সবজি না খাওয়া;

৬০. হঠাৎ রেগে যাওয়া

৬১. নিজেকে অচল ভাবা;

৬২. বয়স নিয়ে চিন্তিত থাকা;

৬৩. নিজের দৈহিক গড়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা করা;

৬৪. মানুষকে শুধু উপদেশ দেওয়া;

৬৫. সবকিছুর বৈজ্ঞানিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যা খুঁজতে চাওয়া; 

৬৬. সবসময় পিছনের বেঞ্চে বা সামনের বেঞ্চে বসতে চাওয়া;

৬৭. বেশি ভলিউমে গান শোনে;

৬৮. ফোনে বেশি কথা বলা;

৬৯. সবসময় সব কিছুতে কারণ খোঁজা;

৬৭. জীবন যৌনতা সর্বস্ব ভাবা;

৬৮. সঙ্গীকে বিশ্বাস না করা

৬৯. সবসময় ফেসবুকে থাকা;

৭০. নির্দিষ্ট কোনো খাবারের প্রতি আসক্তি; 

৭১. গালি দিয়ে কথা বলা;

৭২. নিজের সাথে সবসময় কথা বলা;

৭৩. সব সময় জীবনের মানে খোঁজা;

৭৪. শেইভ (আপেক্ষিক) না করা;

৭৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া;

৭৫. অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলা; 

৭৬. কথার প্রেক্ষিতে শুধু হু হা করা;

৭৭. একটু কিছু হলেই ডাক্তার দেখাতে চাওয়া;

৭৮. রোদ্রে পোড়া;

৭৯. দাঁত না মাজা;

৮০. খাবার হাপুশ হুপুশ খাওয়া; 

৮১. সব কিছুতে হা বলা বা সবকিছুতে না বলা;

৮২. সকল সফল মানুষের মতো হতে চাওয়া;

৮৩. সব কিছুতে নিজের ভূমিকা রাখতে চাওয়া;

৮৪. একটা কাজ শেষ না করে আরেকটা কাজ শুরু করা;

৮৫. আয় বুঝে ব্যয় না করা; 

৮৬. মানুষের নাম মনে না রাখা;

৮৭. অধিক মৈথুন করা;

৮৮. মানিব্যাগ রুমাল ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলে রাখা;

৮৯. যৌনাঙ্গ চুলকানো;

৯০. ঠোঠ কামড়ানো; 

৯১. বারে বারে বিউটি পার্লার বা সেলুন চেঞ্জ করা;

৯২. সব সময় বিল দিতে চাওয়া বা কোনো সময় বিল মেটাতে উদ্যোগী না হওয়া;

৯৩. বাড়িয়ে বলা;

৯৪. কথার মাঝে মাঝে কাঁশি দেওয়া;

৯৫. সম্পর্ক অসমাপ্ত রেখে নতুন সম্পর্কে জড়ানো;  

৯৬. পাইলেই খাওয়া;

৯৭. সব সময় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো;

৯৮. নেতিবাচক মানুষের সংস্পর্শ সম্পর্কে সচেতন না থাকা;

৯৯. নিজের দৌঁড় বুঝতে না পারা;

১০০. হুমকি দেওয়া 


আরো অনেক বদ অভ্যেস মানুষের থাকতে পারে। এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং কমন বদ অভ্যেসগুলো সন্নিবেশ করা হয়েছে। এগুলো সচেতনভাবে পরিহার করতে পারলে জীবন সুন্দর হতে পারে।

দিব্যেন্দু দ্বীপ