রবীন্দ্র সঙ্গীতের সাথে ‘মাদকতা’ শব্দটা খুব মানানসই নয়। কিন্তু শিমুল জামানের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত ঠিক এমনই রূপ পায়। শুনতে শুনতে তন্দ্রা আসে না, বরং তটিনী বেয়ে মন ছুটি যায় মাঝ গাঙে। আমার কাছে তাঁর গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের মধ্যে সেরা মনে হয়েছে “আকাশ আমায় ভরলো আলোয় আকাশ আমি ভরবো গান“।
মা তাহমিনা বেগম ছিলেন স্কুল শিক্ষক, বাবা সুলতানা আলী ব্যাংকার, বগুড়ার মেয়ে শিমুল জামান এখন আমেরিকা প্রবাসী। বসবাস করছেন নর্থ ক্যারোলিনায়।
শিশু বয়স থেকেই শিমুল জামান গান শিখেছেন। শুরুতে তিনি পশ্চিমা ধাচের ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন, এরপর নজরুল গীতি, সর্বশেষ তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতে থিতু হয়েছেন। এখন অবশ্য নিজের গান লিখছেন, এবং আধুনিক গানে মনোযোগী হতে চাইছেন। দেশে বিদেশে সঙ্গীতের উপর তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় ‘একুশের পাঠশালা’ নামে তিনি একটি বাংলা স্কুল পরিচালনা করেন।
রবীন্দ্র সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী বনানী ঘোষের কাছেও গান শিখেছেন। আমেরিকায় তিনি পেয়েছেন ওস্তাদ ইমরান খানকে, তাঁর কাছে সেতার শিখেছেন।
২০১০ সালে বাজারে আসে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘আমি রুপে তোমায় ভোলাব না’। এর আগে ‘শ্রুতি গীতবিতান’ নামে তাঁর আরেকটি অ্যালবাম বের হয়। সম্প্রতি ‘ট্রায়ো-টু ট্যাগর উইথ লাভ’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এরকম নামকরণের কারণ অ্যালবামে তিনি ছাড়াও গেয়েছেন নির্ঝর চৌধুরী ও রোকন ইমন।
‘ট্রায়ো-টু ট্যাগর উইথ লাভ’ অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ৯টি। সংগীতায়োজন করেছেন রোকন ইমন। গানগুলো- ‘শাওনে গগনে’, ‘আকাশ আমার ভরলো আলোয়’, ‘এ কি সত্য’, ‘সজনী সজনী’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘খাঁচার পাখি ছিল’, ‘কতবার ভেবেছিনু’, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’।