ইংরেজি সাহিত্যধারা শুরু হয়েছিল খ্রিস্টীয় ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর মধ্যে কোনো এক সময়ে রচিত মহাকাব্য বিওউলফ-এর মাধ্যমে। এর আগে ইংরেজি সাহিত্যের কোনো লিখিত রূপের সন্ধান মেলে না।
পঞ্চম খ্রিস্টাব্দে জার্মান থেকে এংলো-স্যাক্সনরা এসে ইংল্যাদের আদীবাসীদের পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করলে এংলো-স্যাক্সন নামে ইংরেজ জাতী এবং ইংরেজি ভাষার প্রারম্ভিক রূপ তৈরি হতে থাকে, যেটি এখন মূলত Old English নামে পরিচিত।
বিউলফ-এর পর খ্রিস্টীয় ১০ম শতকে The Wanderer নামে ১১৫ লাইনের একটি কবিতার সাক্ষাত মেলে, তবে কবির নাম জানা যায় না। The Seafarer নামক কবিতাটিও প্রায় একই সময়ে রচিত, এটি মূলত একটি এলিজি।
The Husband’s Message এবং The Wife’s Lament বা The Wife’s Complaint -ঐ সময়ের আরো দুটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। এংলো-স্যাক্সন পিরিয়ডের লেখকদের নাম জানা যায় না।
এগুলো অনেকটা আদী বাংলা সাহিত্য চর্যাপদের মতো, ভাষা দুর্বোধ্য এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নামহীন। পরবর্তীতে সাহিত্যকর্মগুলো আধুনিক ইংরেজি ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। ৩১৮২ লাইনের বিওউলফ কাব্যটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের পটভূমিতে রচিত হলেও এখন তা ইংল্যান্ডের জাতীয় মহাকাব্যের স্বীকৃতি পায় এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আদী ইংরেজি সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয়।